বাগবাড়ি বধ্যভূমি ও গণকবর, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরেও রয়েছে বধ্যভূমি ও গণকবর। লক্ষ্মীপুর উপকণ্ঠে রাস্তার উত্তর পাশের স্থানটির নাম বাগবাড়ি। এখানেই ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। ১৯৭১ সালে বাগবাড়ি বধ্যভূমির নাম শোনেনি এমন মানুষ লক্ষ্মীপুরে খুব কমই ছিল। এই বাগবাড়িতে ছিল একটি সারের গুদাম। আর এই গুদামটিকেই বধ্যভূমি হিসেবে বেছে নেয়া হয়। তারপর গোটা নয় মাস চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। কেবল অক্টোবর মাসের শেষ দিকেই ধর্মপুর থেকে ৬০ জন স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে ধরে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি চালানো হয়। এঁদের অধিকাংশই সেদিন প্রাণ হারাল। সেদিন অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল ১৪-১৫ বছরের কিশোর দীপক কুমার মজুমদার। দীপক মজুমদারের কাছ থেকে জানা যায়, সেদিন পাকিস্তানিদের গুলিতে তাঁর বাবা ডা. ললিত মোহন মজুমদার এবং কাকা ডা. হরেকৃষ্ণ মজুমদার আরো অনেকের সঙ্গে নিহত হন। বাগবাড়িতেই রয়েছে গণকবর। বাগবাড়ির অল্প উত্তরে মেঘনা সড়কের পূর্ব পাশেই এই গণকবরের অবস্থান। বাগবাড়ি সারের গুদামে বন্দিদের হত্যা করে এই স্থানটিতে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো।
[১৩৭] সুকুমার বিশ্বাস
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত