বাঘাইল গণহত্যা, পাবনা
২৩ এপ্রিল পাকবাহিনী অবাঙালিদের সহায়তায় পাকশীর পূর্ব পাশের গ্রাম বাঘাইলে হানা দেয় ঠিক দুপুরবেলা। সবে মাঠের কাজ শেষ করে পুরুষরা ফিরেছে ঘরে। বউ-ঝিরা দুপুরের রান্না-বান্নায় ব্যস্ত। এ সময়ই হানা দেয় মৃত্যুদূত। পাকশীর কলোনি সংলগ্ন হচ্ছে বাঘাইল পশ্চিম পাড়া। পাক বর্বররা এই পাড়ায় ঢুকে একে একে ধরে আনে মেয়ে-পুরুষ-শিশুকে-সামনে যাকে পায় তাকেই। তারপর কলেমা পড়িয়ে, সেই সাথে অনেক পুরুষকে উলঙ্গ করে পরীক্ষা করে তারা মুসলমান কি না। এতেও সন্তুষ্ট হতে পারে না তারা। মনে চেপেছে তখন তাদের খুনের নেশা। তাই একে একে লাইন করে দাঁড় করানো হয় ভীত-সন্ত্রস্ত ধৃত লোকজনকে। তারপর একঝাঁক গুলির শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে ৫০ জন নারী-পুরুষ। পাকবাহিনীর এই হত্যাকাণ্ডে সেদিন যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাঁরা হলেন, মোসলেম, মজিবর, আরমান, জ্যোৎস্না, রূপজান, জাহানারাসহ আরও অনেকে।
[১৭] আবুল কালাম আজাদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত