You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফেনী নদীর রেলসেতু বধ্যভূমি, ফেনী

বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, আনসার, মুজাহিদ ও ছাত্রনেতারা সম্মিলিতভাবে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে অগ্রসরমান পাকসেনাদের গতিপথ রোধ করার জন্য ফেনী নদীর রেলসেতুর দক্ষিণাংশ ধ্বংস করে দেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এখানে এসে থমকে দাঁড়ায়। ক্ষুব্ধ পাক হানাদাররা এ সময় নোয়াখালী জেলার ছাগলনাইয়ার একটি গ্রামে ২৪০ জনকে ধরে এনে হত্যা করে। এরপর থেকে পাকিস্তানিরা প্রতিদিন এই সেতুর আশেপাশের গ্রাম থেকে বাঙালিদের ধরে এনে সেতুর ওপর দাঁড় করিয়ে হত্যা করত। সেতুটি একটি বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। সে সময় এমন একটি দিনও যায়নি যেদিন বাঙালিদের হত্যা করা হয়নি।
এছাড়া ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও মাতুভূঁইয়া সেতু, কুটিরহাট সেতু এবং ছাগলনাইয়ার রেজুমিয়া সেতু এলাকা বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব এলাকায় পাওয়া গেছে অসংখ্য কঙ্কাল ও মাথার খুলি।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!