ফেনী কলেজ গণকবর, ফেনী
ফেনী কলেজের অভ্যন্তরে কতকগুলো কবর খুঁড়ে শত শত নরকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ ও সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে জানা যায় যে ঐ সমস্ত কঙ্কাল কলেজের ছাত্র, শিক্ষক এবং বিভিন্ন অফিসের হতভাগ্য অফিসারদের। বহু সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের কর্মচারীরা তাদের চাকরিস্থলে যাওয়ার সময় খানসেনাদের হাতে ধরা পড়ে এবং নিহত হয়। তাদের অপরাধ তারা বাংলায় কথা বলেন।
ফেনী কলেজ ছাড়াও নির্যাতনের কেন্দ্র ছিল কয়েকটি। শহরের ট্রাংক রোডস্থ তৎকালীন জামায়াত অফিস (বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ) শহরের দর্জিপট্টি ও ফেনী পাইলট হাইস্কুলের অ্যাসেম্বলি নির্যাতন কেন্দ্রে হত্যার পর ২০-২৫টি লাশ এক সঙ্গে ফেনী কলেজ মাঠের দক্ষিণ পাশে সামান্য মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো। আর অন্যান্য স্থানে হত্যা করে লাশ এনে শহরের দক্ষিণ পাশে দাউদপুর পুলের নিচে নদীতে ফেলে।
[৪৪২] রিয়াজ আহমেদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত