বগুড়া সদর গণহত্যা, বগুড়া
‘৭১-এ পাকবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা বগুড়া সদরে কয়েকটি স্থানে ক্যাম্প করে আশপাশের গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, ধর্ষণ ও নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। টি এম মুসা বলেন, ফুলবাড়ি, জামিলের গোডাউন মদলা জেলা স্কুল ও সার্কিট হাউসসহ সদরের আরও দুতিনটা জায়গায় পাকবাহিনী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। তবে লাশগুলো সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। এসব এলাকায় গণহত্যায় নিহত ২৬৭ জনের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁরা সবাই বগুড়ার স্থানীয় নিরীহ জনগণ। তাছাড়া পাকবাহিনী বাবুর পুকুর নামক স্থানে চৌদ্দজনকে একত্রে গুলি করে হত্যা করে। যাদের তারা বগুড়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আক্রমণ চালিয়ে ধরে এনেছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া সাধারণ জনগণই বেশি ছিল। আব্দুল মান্নান পসরী তাদের মধ্যে একজন। এ এলাকায় নারী নির্যাতনও হয় ব্যাপকভাবে। নির্যাতিত নারীদের মধ্যে যাঁরা খুবই সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছিল। এঁদের মধ্যে দুজন পরবর্তীতে পুরোপুরি পাগল হয়ে যায়। যাঁরা আর সুস্থ হয়নি।
[৩৪] দিলরুবা বেগম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত