পিপল জুট মিল গণহত্যা ও বধ্যভূমি, খুলনা
২৬ মার্চ পাকবাহিনী ও বাঙালিদের আক্রমণের ফলে পিপলস মিলের বাঙালি শ্রমিক-কর্মচারীসহ এ এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিরা ভৈরব নদী পার হয়ে সেনহাটি নামক স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এভাবে মিল এলাকাসহ গোটা খালিশপুর এলাকা বাঙালিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে অন্য জুট মিলগুলোর মতো পিপলস জুট মিলকেও পাকিস্তানি হানদার বাহিনী ও বিহারীরা দখল করে নেয় ও বধ্যভূমিতে পরিণত করে। তারা মিরেল বাঙালিদের বাসাসমূহ লুটপাট করে নিয়ে যায়। যারা পালিয়ে যাবার সুযোগ পায়নি বা পালিয়ে যায়নি তাদের শ্রমিকরা ধরে নির্যাতন করে হত্যা করে। মিলের বাইরে ১নং মিলের শিপিং ক্লার্ক আব্দুস সাত্তার সপরিবারে বসবাস করতেন। ২৬ মার্চ হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে তিনি পালিয় যাবার সুযোগ পাননি পরে বিহারিরা তাকে সপরিবারে গণহত্যা করে। তারা এ মিলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও জনৈক ইলেক্ট্রিসিয়ানকে হত্যা করে। ইলেক্ট্রিসিয়ানকে মিলের জ্বলন্ত বয়লারে ফেলে হত্যা করা হয়। মিলের ভিমের শ্রমিক, ফরিদপুরের অধিবাসী ময়নুদ্দিনকে বয়লারে ফেলে হত্যা করা হয়। সাতক্ষীরার অধিবাসী, পিপলস জুট মিলের ১নং মিলেল ক্লার্ক আব্দুর রহিমকে বয়লারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। মিল চালু করার কতা প্রচার করলে এ মিলের অনেক শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগদান করতে এসে অবাঙালিদের হাতে নিহত হয়।
[৯২] মোল্লা আমীর হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত