পীরেরডাঙ্গি বধ্যভূমি, দিনাজপুর
১৯৭১ সালের দিনাজপুরের পীরগঞ্জের পীরেরডাঙ্গি কারবালা প্রান্তরে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদাররা পীরেরডাঙ্গিকে বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। সোয়া নদীর কোল ঘেঁষে একটি জনমানবহীন বিস্তীর্ণ ধুধু প্রান্তর জুড়ে ছড়িয়ে ছিল সহস্র বাঙালির মাথার খুলি, বুকের পাঁজর, হাত-পায়ের হাড় ও রক্তমাখা ধূলি ধূসরিত বস্ত্র। এই নির্জন প্রান্তরে বন্দিশিবির তৈরি করে ক্রমাগত বিভিন্ন স্থান হতে বাঙালিদের ধরে এনে জীবন্ত অবস্থায় তাদের শরীরের মাংস কেটে কুকুরকে খাওয়ানো হয়েছে। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত জ্বালানো হয়েছে। জবাই করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে নিরীহ বাঙালিদের পীরেরডাঙ্গির কিশোর লালুয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, এই বধ্যভূমিতে ত্রিশ হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত