পৃথিমপাশা গণহত্যা, মৌলভীবাজার
৭ মে কুলাউড়ায় আসার অব্যবহিত পরেই থানা সদর থেকে সাত মাইল দক্ষিণে পৃথিমপাশায় আগমন করে পাকবাহিনী।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ার গ্রামের আবদুল খালিক চাকরি করতেন রাজস্ব বিভাগে। চট্টগ্রামের কোনো এক তহসিল অফিসে তিনি তহসিলদার হিসেবে কাজ করতেন। পাকবাহিনী তাঁকে কর্তব্যরত সেখানেই হত্যা করে।
৭ মে থেকে স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত পৃথিমপাশার পদ্মদিঘির পাড়ে হত্যা করা হয় শতাধিক নিরীহ লোককে; কিন্তু তাঁদের সকলের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। লোকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় পাকবাহিনী। লুটপাট ও নারী নির্যাতন করে সর্বত্র। বিজলি গ্রামের নরেন্দ্রনাথের বাড়ির ওপর চড়াও হয় একদিন পাকবাহিনী এবং আটক করার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত