You dont have javascript enabled! Please enable it!

৪ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- যশোর

লেঃ হাফিজকে চুয়াডাঙ্গা আনার জন্য মেজর ওসমান ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবকে চৌগাছায় লেঃ হাফিজের কাছে প্রেরন করেন। মাহবুব এবং লেঃ হাফিজ দুজনেই বাল্যবন্ধু। মাহবুব লেঃ হাফিজকে মেজর ওসমানের আমন্ত্রনের কথা জানান। রাতে মাহবুব লেঃ হাফিজকে নিয়ে মেজর ওসমানের কাছে পৌঁছেন। সেখানে লেঃ হাফিজের সাথে তৌফিক এলাহির সাথে দেখা হয়। এক সময়ের তাবলীগ জামাতের মোল্লা তৌফিক এলাহিকে এরুপ বেশভূষায় দেখে হাফিজ অবাক হন। মেজর ওসমানের সাথে সাক্ষাতের শুরুতে তিনি লেঃ হাফিজকে বিদ্রোহ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি লেঃ হাফিজকে জানান তিনি প্রচুর পাকিস্তানী অস্র হস্তগত করেছেন তার বাহিনী ৩০৩ রাইফেল ব্যবহারে অভ্যস্ত তাই তিনি সে অস্র গুলি (পয়েন্ট ৭৬৫) হাফিজকে দিতে চান। হাফিজ সেখানে ডাঃ আস হাবুল হক এমপিএ, পাবনার ডিসি নুরুল কাদের, ক্যাপ্টেন এআর আজম, মাগুরার এসডিও ওয়ালিউল ইসলামের সাথে পরিচিত হন। চুয়াডাঙ্গার এসডিও ছিলেন পাঞ্জাবী। তাকে এবং তার পাঞ্জাবী স্ত্রী সহ গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। পরদিন সকালে লেঃ হাফিজ মেজর ওসমানের নিকট থেকে দুটি জীপ, একটি হেভি মেশিন গান, দুটি রিকুয়েলস রাইফেল সহ প্রচুর এমুনিশন, ইউনিফর্ম, বুট, বিভিন্ন জিনিষ পত্র নিয়ে হাফিজ চৌগাছা ফিরে যান।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!