পাইকগাছা থানার গণহত্যা ও নির্যাতন, খুলনা
খুলনার অন্যান্য এলাকার ন্যায় পাইকগাছা থানায়ও রাজাকারা গণহত্যা চালায়। জাতীয় সংসদ সদস্য এম. এ. গফুর ও শেখ মাহাতাব উদ্দীন ২৬ মার্চের পর তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। পাইকগাছা এরাকা শত্রুমুক্ত রাখতে তথা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এম.এ. গফুর এখানকার অনেককে ভারতে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠান। তিনি মনি মিয়াকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাইকগাছার থানা প্রশাসক নিয়োগ করেন। এম.এ. গফুর ভারতে থাকায় এখানকার প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনার দায়িত্বও মনি মিয়াকে পালন করতে হয। কিছদিনের মধ্যেই এখানকার মুক্তিবাহিনী গড়ইখালী রাজাকার ক্যাম্প ও পাইকগাছা থানা আক্রমণ করে রাজাকার ও পুলিশের অস্ত্র হস্তগত করে। এভাবে পাইকগাছা এলাকায় মুক্তিবাহিনী পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে সিভিল প্রশাসন গড়ে তোলে। পাইকগাচার এ অবস্থা মেনে নিতে না পেরে পাকসেনা ও তাদের এদেশীয় দোসররা থানা সদরের ১২ কিলোমিটার উত্তরে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের পাশে কপিলমুনিতে একটি শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপন করে। এখান থেকে তারা পাইকগাছার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য তৎপরতা চালায়।
[৯২] মোল্লা আমীর হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত