পাগলা নদীর ধারের ইটখোলা বধ্যভূমি, নারায়ণগঞ্জ
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাগলাতে নদীর পার্শ্ববর্তী একটি ইটখোলাকে পাক হানাদার বাহিনী বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করত। পাকবাহিনীর গুলি ও বেয়নেটের মারাত্মক আঘাত সত্ত্বেও জনৈক আবদুল বারী ও আবদুল গফুর (পুলিশের হাবিলদার) অলৌকিকভাবে এই বধ্যভূমি থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন। উক্ত দুই ব্যক্তি ২০ মে পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। রাত আড়াইটা নাগাদ হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় আরো কয়েকজনসহ তাদের এই বধ্যভূমিতে এনে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। অতঃপর গুলি ও উপর্যুপরি বেয়নেট চার্জ করে হানাদার বাহিনী ফিরে যায়। আবদুল বারীর হাতের সঙ্গে বাঁধা অপর ব্যক্তি মারা যায়। অনেক কষ্টে তারা পার্শ্ববর্তী গ্রামে পৌঁছালে গ্রামবাসীদের সেবা-শুশ্রূষায় সুস্থ হন। উল্লেখ্য, আবদুল বারীর দেহে ১৮টি বেয়নেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
[২৪৭] রোজিনা কাদের
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত