পানি উন্নয়ন বোর্ড গণকবর, নড়াইল
নড়াইল জেলার তুলারামপুর গ্রামটি ছিল তৎকালীন নড়াইল মহকুমার প্রবেশদ্বার। তাই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা এখানে অবস্থান করে বিভিন্ন অপারেশনের পরিকল্পনা করত। এবং ঐ গ্রামের বাসিন্দারাও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করত তেমনি একটি পরিবার ছিল তরফদার পরিবার। এই পরিবারের সদস্যরা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ই দেয়নি তারাও যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এই খবর স্থানীয় পিস কমিটির চেয়ারম্যান সোলায়মান মোল্যা ও তার সহযোগীরা হানাদারদের নিকট পৌঁছে দেয় এবং ১৭ জুলাই ভোরে হানাদাররা তরফাদার বাড়িতে যায়। তাদের সাথে সোলায়মান মোল্যা ও তার সহযোগীরাও ছিল। তারা তরফদার বাড়ি থেকে ও গ্রামের অন্যান্য বাড়ি থেকে মোট ২৮ জনকে চোখ বেঁধে টেনেহিঁচড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পশ্চিম কোণে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের দিয়ে কবর খোঁড়ায় এবং এরপর তাদের হাত-পা বেঁধে কবরে নামিয়ে গুলি করে জীবিত অবস্থায় মাটিচাপা দেয় নরপশুরা। যে কজনকে জীবিত কবর দিয়েছিল তারা হচ্ছে, আতিয়ার তরফদার, ছালাম তরফদার, মাহতাব তরফদার, রফিউদ্দিন তরফদার, আলতাফ তরফদার, মকবুল শিকদার ও মোকাম মোল্যা।
[৫৮৪] অমিত কুমার বিশ্বাস
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত