You dont have javascript enabled! Please enable it!

নলছিটি গণহত্যা, বরিশাল

১ জুন পুলিশ ও রাজাকার নলছিটি থানার বিরাট গ্রাম হতে বরিশাল বারের এ্যাডভোকেট জিতেন্দ্রলাল দত্ত, তার পুত্র সাহিত্যিক সাংবাদিক মিহিরলাল দত্ত, সুধীরলাল দত্তসহ (পান্তু) অনেক হিন্দু ধরে ঝালকাঠিতে পাঠিয়ে দেয়। ৩ জুন সিআইডি পুলিশ শাহ আলম এবং ওসি সেকান্দারের নির্দেশে সুধীর দত্তসহ ১১ জন তরুণকে গুলি করে এবং তাদের লাশ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেয়। জিতেন্দ্রলাল দত্তকে বরিশাল হতে ছেড়ে দেয় এবং মিহির দত্তকে যশোর সেনানিবাসে পাঠিয়ে দেয়। এক মাস নির্যাতনের পর মিহির দত্ত মুক্তি পায়। পুনরায় ১৫ অক্টোবর রাজাকাররা এডভোকেট জিতেন্দ্রলাল দত্ত ও মিহির দত্তকে ধরে নিয়ে যায় এবং সিঅ্যান্ডবি রাস্তার পাশে গুলি করে জিতেন্দ্রলাল দত্তকে হত্যা করে। মিহির দত্তকে গুলি করে এবং মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি আরোগ্য লাভ করেন। স্বামী ও পুত্রশোকে শ্রীমতী শোভনা দত্ত পঙ্গু হয়ে যান এবং দীর্ঘদিন রোগ যন্ত্রণা ভোগের পর দেহ ত্যাগ করেন।
[১৩৫] সিরাজউদ্দীন আহমেদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!