You dont have javascript enabled! Please enable it!

নারায়ণগঞ্জ টেডিগেট (নিউ কলোনি) নির্যাতন কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জ

এখান দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। কলকল করে বয়ে যায় এর জল। পাক দোসররা মিলে কর্মরত শ্রমিকদের ধরে আনে খালপাড়ে। চালায় অমানুষিক অত্যাচার। তাতেও সাধ মেটে না পশু দলের। ১৭ আগস্ট এই খালের পাড়ে দাঁড় করিয়ে ১৭-১৮ লোককে হত্যা করে হায়েনারা।
কাশেম (কাইস্যা চোরা) নামক এক রাজাকার গোদনাইল ইউনিয়নে অনেক অত্যাচার শুরু করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। কাশেম রাজাকারের সঙ্গে চাঁদপুরের বেলতলী গ্রামের আরেক রাজাকারের বন্ধুত্ব। দুজনে মিলে গ্রামবাসীদের টাকা-পয়সা লুট করত। মুক্তিযোদ্ধা কাদির টাকার প্রয়োজনে স্ত্রীর গহনা বিক্রির জন্যে নারায়ণগঞ্জ রওনা হয়। পথিমধ্যে বেলতলীর রাজাকারটি কাদিরের গহনা লুট করে তাকে বন্দি করে নিয়ে আসে জালকুড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানা দেখিয়ে দেয়ার জন্যে। শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে বার্মা সেলে ডিপোর সামনে লাশ ফেলে রেখে দেয়।
অবাঙালি রাজাকার কোরবান আলী গোদনাইল বাজারে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করত। দোকানদাররা তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকত। দোকানিদের টাকা- পয়সা লুট করে নিত।
[১০১] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত