নবাবগঞ্জ গণহত্যা, ঢাকা
১ মে নবাবগঞ্জে পাকবাহিনী প্রথম প্রবেশ করে। ঐদিনই বর্ধনপাড়া ও কলাকোপা গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে তারা ২০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। আগস্টের শেষ নাগাদ পাকিস্তানি বাহিনী আগলার পূর্বপাড়া গ্রামে রাজাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে ঘাঁটি স্থাপন করে। মুক্তিবাহিনী এ সময় এদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পাকবাহিনীর গুলিতে মঙ্গল ও আকবর নামে দুজন কৃষক শহীদ হন। কার্তিক মাসের ৭ তারিখে পাকবাহিনীর লঞ্চ শেখেরনগরের জেলেপাড়ায় আক্রমণ করে। এ সময় মুক্তিবাহিনী আকস্মিক আক্রমণ করলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি করে বেশ কিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। আব্দুর রহমান, জাবের আলী, ইয়াকুব আলী, মঙ্গল, রৌশন, হকি মিয়া ও তিলাকরসহ মোট ১১ জন এখানে শহীদ হন। এ ছাড়া পাকসেনারা আগলা প্রাইমারি স্কুলের সামনে দাঁড় করিয়ে ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এর মধ্যে ৭ জন মারা যান। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনী গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটতে থাকে। সে সময় বৃদ্ধ যোগাই এবং তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রী পাকবাহিনীর হত্যার শিকার হন। এ ছাড়া বাহার রহমান মাতবরের দুই ছেলে, নাতি ও মেয়ের জামাইসহ একই পরিবারের ৬ জনকে হত্যা করে তারা।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত