দিঘিরপাড় গণহত্যা, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের একটি গ্রাম দিঘিরপাড়। এখানে কয়েক ঘর হিন্দু। এই হিন্দুদের খোঁজে পাকসেনারা ভুলতা বাজারে থামে। তারপর গ্রামগুলোর দিকে অগ্রসর হতে থাকে হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যরা। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমীর হোসেনের ভাষায়—
পাকসেনারা পাচাই খাঁ গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞেস করে এখানে হিন্দু আছে নাকি। হিন্দু জনগোষ্ঠী খুঁজতে তারা দিঘিরপাড় গ্রামে ঢোকে। কর্মব্যস্ত গ্রামবাসী হঠাৎ চমকে ওঠে। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে। নিমিষেই পুরো গ্রামটায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গুলির শব্দ আর আগুনের শিখা দেখে আতঙ্কিত নর-নারী প্রাণভয়ে ছুটাছুটি শুরু করে দেয়। হায়েনারা ১২ জন হিন্দু পুরুষকে ধরে পাচাইখাঁ কোনাখালি খালের কাছে নিয়ে আসে। মেশিনগান গর্জে উঠল। একজন পানিতে লাফিয়ে পড়ে ডুব দিলে সে বেঁচে যায়।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত