You dont have javascript enabled! Please enable it!

ডোলার (ভোলাব) গণহত্যা, নারায়ণগঞ্জ

২৭ নভেম্বর। শেষ রাত। নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ভোলাব প্রাইমারি স্কুলে পাকসেনারা অতর্কিত আক্রমণ চালাল। স্কুলটি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ছিল। মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম রশিদ ভূঁইয়া বকুল হানাদারদের দেখা মাত্র গুলি করে। পাকবাহিনীর পাল্টা গুলিতে বকুলের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। ৪০-৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ভোলাব শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে সাঁতরিয়ে প্রাণ বাঁচায়। সাইম সরকার শহীদ হন পাকসেনাদের গুলিতে। মুক্তিযোদ্ধা অগাস্টিন প্যারালকে পাকসেনারা ধরে নরসিংদী নিয়ে যায়। তাঁর ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালায় ও অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ বের করার জন্যে। আগস্টিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে কেটে ক্ষতস্থানে লবণ লাগিয়ে দেয়। বেয়োনেট চার্জ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঐ দিনই হানাদাররা নজরুল ইসলামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!