ডিগ্রি কলেজ গণকবর, বগুড়া
সৌভাগ্যবশত আনন্দ আশ্রমের বেঁচে যাওয়া সাধুবাবা যুগোলকিশোর গোস্বামী জানান, হানাদার পাকবাহিনী বগুড়া দখল করার পরও আশ্রমে চারজন সাধু ও তিনজন মাতা ছিলেন। হানাদার বাহিনী তিনজন সাধুকে বগুড়া রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে ডিগ্রি কলেজ সড়কের পাশে গুলি করে হত্যা করে। এদের ভেতর ছিলেন সুন্দর সাধু, মঙ্গল সাধু এবং বৃদ্ধ মুনীন্দ্রনাথ সরকার। আশ্রমের পূর্ব দিকের বাগানে একটা বদ্ধ কূপ আছে। প্রায় প্রতি দিনই করুণ কান্নার আওয়াজ আমি শুনেছি। একদিন এক ছোট শিশু ‘বাবা-মা বাঁচাও বাঁচাও’ করে চিৎকার করছিল। ঐ ছেলেটাকে জবাই করে কূপে ফেলে দেয়া হয়েছে। কূপে নরকঙ্কাল আর মাথার খুলিগুলো এখনো দেখা যাবে।
[ ১৩৭] সুকুমার বিশ্বাস
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত