ঠাকুরগাও পুলিশ লাইন গণহত্যা, ঠাকুরগাও
ঠাকুরগাঁও শহরের ৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাসস্ট্যান্ডের থেকে গড়েয়া যাবার পথে এবং বর্তমান পুলিশ লাইনের পাশে রয়েছে ৭টি জোড়া কবর। পাশাপাশি কবরগুলো এখন বাঁধানো রয়েছে। একাত্তরের এপ্রিল মাসে খানসেনারা ঠাকুরগাঁও শহর দখল করে নেবার পর আস্তে আস্তে তারা শহরের আশপাশের এলাকায় তাদের হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে।
১৯৭১ সালে এখানে কুঁড়ে ঘরের মতো একটা মাদ্রাসা ছিল। তারই পাশে ৪-৫টা বাড়িতে প্রহরী হিসেবে রয়ে গিয়েছিলেন সমিরুদ্দীন, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আবদুস সামাদ, শামসুল ইসলাম। তাদের স্ত্রী পরিজনকে আগেই দূরে কোথাও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। খানসেনারা অতর্কিতে একদিন এই এলাকায় হামলা চালায় এবং বাড়ি বাড়ি থেকে সকলকে একত্রিত করে মাদ্রাসার কাছে নিয়ে এসে লাইন ধরে গুলি করে হত্যা করে। শহীদদের সবাই ছিলেন বেশ বয়স্ক। এদের মধ্যে জমির আলীরও গুলি লাগে এবং তাকে মৃত ভেবে খানসেনারা চলে যায়। পরবর্তীতে দূরদূরান্তের লোকজন খবর পেয়ে ভয়ে ভয়ে এখানে আসে ও শহীদদের দাফনের ব্যবস্থা করে।
[৯৫] মোহাম্মদ এমদাদুল হক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত