ঠাকুরগাঁও সুগার মিল গণহত্যা, ঠাকুরগাঁও
অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে ঠাকুরগাঁও শহর পতনের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন নানাবিধ কার্যক্রমে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের শ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রমিক আন্দোলন মূলত সুগারমিলের শ্রমিক সংগঠনের ওপরই নির্ভরশীল ছিল। খানসেনারা যেদিন ঠাকুরগাঁও দখল করে তার একদিন পরেই সুগারমিলে আসে। তখন অধিকাংশ লোকই ভারতে চলে গিয়েছিল। জহুর হোসেন নামক একজন গার্ড ছিলেন তখন প্রহরায়। আসগর আলী নামের আরেকজন ছিলেন সিনিয়র ইলেক্ট্রিশিয়ান। খানসেনারা দুজনকেই একত্রে এনে মিলের গেটের পাশে গুলি করে হত্যা করে। মিলে প্রবেশের মূল ফটকের বাম পাশেই তাদের জোড়া কবর আছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে কবরটি বাঁধানো হয়েছে।
[৯৫] মোহাম্মদ এমদাদুল হক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত