চৌমুহনী দিঘীর বধ্যভূমি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর চৌমুহনী দীঘির দক্ষিণ পাড়ে পাওয়া গিয়েছে অসংখ্য মানুষের লাশ। আজকে যেখানে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের স্টোর তার ঠিক দক্ষিণ দিকে জমা করা বালির নিচে চাপা দেয়া হয়েছিল নাম না জানা স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের। স্বাধীনতার পর এখান থেকে উদ্ধার করা হয় বহু মানুষের হাড়গোড়, মাথার খুলি। এই স্থান থেকে টেকনিক্যাল স্কুলের দূরত্ব ছিল মাত্র একশ গজ। বেগমগঞ্জ কালীবাবুর গ্যারেজের সামনের ডোবাটি ছিল আরও একটি বধ্যভূমি। কালীবাবুর এই গ্যারেজের দোতলাতেই ছিল রাজাকার ক্যাম্প। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, প্রতিরাতেই মানুষ ধরে নিয়ে এসে এই স্থানটিতে হত্যা করা হতো। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, এই নৃশংস কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল রাজাকার মুনীর, জামায়াতে ইসলমীর নেতা অধ্যাপক মহিউদ্দিন এবং ফজলে আজিম। কয়েক বছর পূর্বে এই ডোবা থেকে একটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত