চৌমুহনী কালীবাবুর গ্যারেজ গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র, নোয়াখালী
নোয়াখালীর চৌমুহনী কালী বাবুর গ্যারেজে অনেক লোককে হত্যা করা হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ই.পি.আর রাইফেলস-এর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা রাজাকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন মারধর করা হয় যার ফলে তার পা অকেজো হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সেটি কেটে ফেলা হয়। একইভাবে নির্যাতন করা হয় মুক্তিফৌজের সৈনিক আইউব আলীকে। এছাড়া পাকবাহিনীর অনেককে ধরে এনে টেকন্যিকালে, মাইজদী পি.টি.আই ও সোনাইমুড়ী রেলস্টেশনে নির্যাতন করে। ২৪ এপ্রিল ফেনাঘাটা অপারেশনের শেষে পাকবাহিনী চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার পুরো জ্বালিয়ে দেয় এবং জগদীশপুর গ্রামের ২টি বাড়ি জ্বালিয়ে এবং তেলীবাড়ির দুজন নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করে। ৬ মে হানাদার বাহিনী লক্ষ্মীপুর যায় এবং পথিমধ্যে চন্দ্রগঞ্জ বাজার আক্রমণ করে সমস্ত বাজার জ্বালিয়ে দেয়। পাশের ১৭-১৮টি বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়। মোট ৩৮ জনকে গুলি করে হত্যা করে।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত