চুন্টার গণহত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
একাত্তরের ১৬ অক্টোবর দুপুর বেলায় আশুগঞ্জের চুন্টা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ঢাক্কাবালীর সহযোগিতায় পাকবাহিনী হিন্দু অধ্যুষিত চুন্টা গ্রাম ঘেরাও করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন, পরিমল ও লোকাপাড়ার বাদশা মিয়ার বাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। এই দিন হানাদাররা ২৫ জন নিরপরাধ গ্রামবাসীকে ধরে কোমরে দড়ি বেঁধে সরাইল থানায় নিয়ে যায়। সেখানে দু দিন তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার, নির্যাতন চালানো হয়। অতঃপর ১৮ অক্টোবর সকাল বেলায় সবাইকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দরন্তী খালের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলেই ২২ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পাকহানাদার বাহিনীর ব্রাশফায়ারে সেদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন এদের সবাই ছিলেন হিন্দু।
[৫৭২] শাহজাহান আলম সাজু
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত