You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.03.28 | ঘাঘট নদীর তীর বধ্যভূমি | রংপুর - সংগ্রামের নোটবুক

ঘাঘট নদীর তীর বধ্যভূমি, রংপুর

রংপুর শহরে ছিল পাকবাহিনীর ২৩তম ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। ব্রিগেড কমান্ডার ছিল আবদুল্লাহ মালিক। এই ব্রিগেডের অধীন ছিল ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ২৬ এফএফ রেজিমেন্ট, ২৩ ক্যাভালরি ও ২৯ ট্যাঙ্ক বাহিনী। ২৩ মার্চ পাকিস্তানি সেনা অফিসার অবাঙালি লে, আব্বাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রংপুর এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে গ্রামবাসী দা, কুড়াল, তীর ধনুক নিয়েই রংপুর সেনানিবাস আক্রমণের মতো দুঃসাহসিক কাজে এগিয়ে যান। ২৮ মার্চ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ তীর-ধনুক-বল্লম-লাঠি-দা-কুড়াল এবং বাঁশের লাঠি হাতে ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নিসবেতগঞ্জ হাট ও তার আশপাশের এলাকাসহ ঘাঘট নদীর তীরে ঘেঁষে জমায়েত হতে থাকে। এমন সময় ক্যান্টনমেন্ট থেকে গর্জে ওঠে পাকবাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের ঝাঁক ঝাঁক গুলি। পাখির মতো লুটিয়ে পড়তে থাকে মানুষ। ঘাঘট নদীর পানি হাজারো শহীদের রক্তে লাল হয়ে যায়। এতে এই ঘাঘট নদীর তীর একটি বৃহৎ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত