চাঁচড়া বধ্যভূমি, যশোর
যশোর রেল স্টেশনের দক্ষিণে চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার বধ্যভূমির হাড়গোড় হারিয়ে গেছে বাড়িঘরের ভিড়ে। বধ্যভূমির পাশে শিমুল গাছের নিচে খনন করলে এখনো হাড়গোড় পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যুদ্ধের সময় এটি ছিল বিহারি প্রধান এলাকা। বিহারি যুবকরা বাঙালি নিধনের জন্য একটা বাহিনী গঠন করে। এই বাহিনী রেল স্টেশন ও বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঙালিদের ধরে এনে তাঁদের সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে এখানে হত্যা করত। তৎকালীন মনিরামপুর থানায় কর্মরত দারোগা মোকাররম হোসেন জানান, ৬ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে এসে তাঁরা শুধু লাশ দেখেছেন। কয়েক দিন পর আড়াইশ’ টাকা দিয়ে ডোম ডাকিয়ে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এখান থেকে এক ট্রাক কঙ্কাল সাভারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ভাই নুরুল হুদাকেও হত্যা করা হয় এখানে। সাইফুজ্জামান বলেন, ১৯৭৩-৭৪ সালে বাড়ি তৈরির সময় তিনি কয়েক ঝুড়ি হাড় সংগ্রহ করেন।
[৩৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত