চাটখিল গণহত্যা, নোয়াখালী
নোয়াখালীর চাটখিল থানায় প্রথম আর্মি আসে বর্ষা মৌসুমে। ২০-৩০ জন আর্মি সরাসরি সোনাচাকা বাজারে আসে জিপে করে। জিপের পেছনে বসা ছিল আনায়ার হোসেন অ্যাডভোকেট এবং আবু সুফিয়ান। উদ্দেশ্য, তৎকালীন সাবেক আর্মি অফিসার আব্দুর রব চৌধুরীর বাড়ি আক্রমণ। প্রথম দিন কোনো গণহত্যা এবং নির্যাতন চালায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় দিন তারা আসেই নির্যাতনের উদ্দেশ্যে। তাদের নির্দেশে রাজাকাররা মল্লিকা দীঘির পাড়ে চালতাবাড়ির রাব্বান উল্লাহর ছেলে, ডোলবাড়ির মুছামিয়ার ছেলে, হুনাজী বাড়ির মধুমিয়ার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করে এবং আব্দুল মান্নানের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পর স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা ও রাজাকারদের মদদে পাক আর্মি আবার মোহাম্মদপুর বাজারে আসে। মোহাম্মদপুরের মোস্তফাকে হাত-পাঁ বেঁধে তার ঘরে আগুন লাগায় এবং এভাবে আরো ৭-৮ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত