গাঙ্গুলি বাগান বধ্যভূমি, বগুড়া
বগুড়ার গাঙ্গুলি বাগানও একতি বধ্যভূমি। বগুড়ার শহরতলী সেউজগাড়ি শেষ মাথায় ঐতিহাসিক তিনটী বাগান ছিল। পুর্বদিকে গণমঙ্গল, পশ্চিমে আনন্দ আশ্রম,মাঝখানে গাঙ্গুলি বাগান। ১৯৩০-১৯৪০ এর দিকে গণমঙ্গল ছিল কংগ্রেসের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে এসেছিলেন মহত্মা গান্ধী এসেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। পশ্চিমের বাগান আনন্দ আশ্রমে শতাধিক বছর পূর্বে এসেছিলেন তাপস বাবাজী আনন্দ। এই দুই ঐতিহাসিক বাগানের মাঝখানে গাঙুলী বাগান বগুড়ার অন্যতম বধ্যভূমি। এ বাগান থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সাধু বাবা যুগল কিশোর গস্বামী তাঁর কাছ থেকে জানা যায়, হানাদার পাকবাহিনী বাগান দখল করার পরও আশ্রমে ৪ জন সাধু ও তিন জন মাতা ছিলেন। হানাআদার বাহিনী তিনজন সাধুকে বগুড়া রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে ডিগ্রি কলেজের সড়কের পাশে গুলি করে হত্যা করে। আশ্রমএর পুর্বদিকে বাগানে একটি বন্ধকূপ আছে। প্রায় প্রতিদিনই তিনি এ বাগান থেকে করুন কান্নার আওয়াজ শুনেছেন। একদিন একটা ছোট্ট শিশু ‘বাবা মা’ বাঁচাও, বাঁচাও, বলে চিৎকার করেছিল। ঐ ছেলেটাকেও জবাই করে কুপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
[৩৪] ডা. এম. এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত