You dont have javascript enabled! Please enable it!

খুলনার রেলওয়ে কলোনি হত্যা ও নির্যাতন, খুলনা

অবাঙালি ও রাজাকার বাহীনির সদস্যরা মিলে খুলনা রেলওয়ে কলোনীকেও জল্লাদখানায় পরিনত করে। এরা একদিকে রেলোয়ে কলনীতে বসবাসরত বাঙালি কর্মচারিদের সর্বস্ব কেরেনিয়ে তাদের স্বপরিবারে হত্যা করে মৃতদেহ কলনীর আনচে-কানাচে পুঁতে রাখতো। অন্যদিকে লঞ্চ,স্টিমার ও রেলের যাত্রীদের এখানে ধরে এনে তাদের সর্বস্ব কেরে নিয়ে ও পড়ে হত্যা করতো। খুলনা স্টেশন রডে তখন কেরসিন বিক্রি হত। খুলনার আশেপাশে গ্রাম সমূহে থেকে অনেকে এখানে কেরসিন কেনার জন্য লাইন দিত। ঘাতকরা সুযোগ মত এদের অনেকঅকে ধরে রেল কলনীতে নিয়ে তাদের সর্বস্ব কেরে নিয়ে হত্যা করত। বিশেষ্করে, ডিসেম্বরে খুলনায় বিমান হামলার সময় বিমানের সাওরেন বাজার সাথে সাথেই এই কেরসিন ক্রেতা সহ পথচারীদের অনেকে আত্মরক্ষার জন্য নিলোনিতে আশ্রয় নিত। এতে ঘাতকরা অতি সহজেই ভীতসন্ত্রস্ত লোককে হত্যা করে গুদাম ঘরের মধ্যে ফেলে দিত। খুলনা মুক্ত হলে এই রেলওয়ে কলনি থেকে উদ্ধার করা হয় খুলনা থানার দারগা আবুল কাসেমের গলিত লাশ। এছারা কলোনির সন্নিকটে আসিয়ানি হোটেলের সামনে ডোবে থেকেও অজ্ঞাতনামা অনেকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
[৯২] মোল্লা আমীর হোসেন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!