You dont have javascript enabled! Please enable it! খলিশাখালীর ডাঙা গণহত্যা | বাগেরহাট - সংগ্রামের নোটবুক

খলিশাখালীর ডাঙা গণহত্যা, বাগেরহাট

বাগেরহাটের খলিশাখালী গ্রামের ডাঙায় ধানক্ষেতের মধ্যে বহু লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। আশ্রিতদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ছিলেন পিরোজপুর জেলার আটঘর-কুড়িয়ানার অধিবাসী। ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করে এখানে এসে তারা একদিনের জন্য বিশ্রাম করছিলেন। বাবুগঞ্জ বাজারের নিকটে গানবোট থামিয়ে পাকবাহিনীর সদস্যরা চিতলমারীর দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে খলিশাখালীর ডাঙায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করে। রাজাকার বাহিনীর লোকজন শাবল দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মারে এবং অন্যরা মারা যান পাকবাহিনীর গুলিতে।
এছাড়া পাকবাহিনী ও রাজাকার বাহিনী যখন চিতলমারীর কাছাকাছি পৌছেছিল তখন আদিখালী গ্রামের কাছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে পাটক্ষেতের মধ্যে একই গুলিতে পিতা এবং তাঁর শিশুপুত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এভাবে আরো দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় চৌহাজারী গ্রামের একজন এবং আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের একজন পাকবাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছিলেন। এছাড়া বাগেরহাট থেকে লঞ্চে করে পাকবাহিনীর একটি অংশ চিতলমারীতে আসার পথে খালের দুই ধারে অবিরাম গুলিবর্ষণ করতে করতে অগ্রসর হচ্ছিল। চিরুলিয়া-বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সিঙ্গা গ্রামের পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।
[১২৪] স্বরোচিষ সরকার

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত