খাগটেকা আখড়ার পূর্বপাশের বধ্যভূমি, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার ৯ নং সুজানগর ইউনিয়নের খাগটেকা গ্রামের খাগটেকা আখড়ার পুর্বয়াপ্সহের বধ্যভূমিতে পাক হানাদাররা হত্যা করেছে পিতাপুত্রসহ তিনজঙ্কে একত্রে গুলি করে। লোমহর্ষক কাহিনী আজও এলাকাবাসীকে শিহরিত করে। দালাল আব্দুল লতিফসহ আরো কজন এপ্রিলের শেষদিকে পাক হানাদারদের হাতে তুলে দেয় সালদিঘা গ্রামের রাজেন্দ্র কুমার দাস (৫৫), পিতা প্রকাশ চন্দ্র দাস, গীতা রঞ্জন দাস (২০), পিতা রাজেন্দ্র কুমার দাস এবং খাগটেকা গ্রামের রাজকিশোর দাস (৫০), পিতা দীননাথ এ তিনজনকে। পাকসেনারা লাথি মারতে মারতে তাঁদের অর্ধমৃত করে ফেলে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে তিনজনকে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। পিতার সাথে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত শরীরে গর্তে লুটিয়ে পড়ে রাজেন্দ্র দাস ও রাজকিশোর দাসের সাথে রাজেন্দ্র দাসের ছেলে গীতারঞ্জন দাস। রাজেন্দ্র দাস ও রাজকিশোর দাস সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করেন; কিন্তু বেঁচে যান গীতারঞ্জন দাস। সালদিয়া গ্রামের রানাকান্ত দাস কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে খাগটেকা আখড়ার পূর্বপাশের ডবার বধ্যভূমি থেকে গীতারঞ্জন দাসকে উদ্ধার করে আনেন। সে সময় নিখোঁজ হন সালধিঘার হাফিজ সাদ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল আউয়াল। আজও আব্দুল আউয়ালের সন্ধান মেলেনি।
[১২] গোপাল দত্ত
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত