You dont have javascript enabled! Please enable it! কুমিল্লার গণহত্যা | কুমিল্লা - সংগ্রামের নোটবুক

কুমিল্লার গণহত্যা, কুমিল্লা

দীর্ঘ নয় মাস ইয়াহিয়ার নরখাদক বাহিনী এবং অনুচররা বিভিন্ন হাট-বাজার, ঘরবাড়ি, রেল এবং বাস থেকে বহুসংখ্যক যুবককে ধরে এনে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে একমাত্র বিষ্ণুপুরের আলী আকবর নামে এক যুবক জীবন্ত ফিরে আসতে সক্ষন হয়। বিএসএসের প্রতিনিধির কাছে তিনি জল্লাদ বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে কাহিনী বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি চালানো হয় এবং ৩ বছর বয়স্ক বাসেতকে হত্যা করা হয়। তাঁর বাড়ি লুট করে সমস্ত কিছুসহ সার্কটি হাউসে আরো ১২ জনকে ঐ সময় ধরে আনা হয় এবং সারারাত ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয়। পরদিন সকালে চোখ এবং হাত বেঁধে ট্রাকে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, একটি গুদামঘরে তাঁদের নিয়ে আসা হয় এবং চোখ খুলে দেয়া হয়। সেখানে তিনি বহু হতভাগ্যকে পা বাধা-হাত বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঐ সব হতভাগ্যের মধ্যে শহরের নামকরা আইনজীবী যতীন্দ্র ভদ্রকেও তিনি দেখতে পান। তাঁর গায়ে যথেষ্ট ক্ষতচিহ্নও তিনি দেখেছেন।
[১৮৭] আবুল কাসেম হৃদয়

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত