কালীবাড়ি হত্যা, পাবনা
পাক পশুরা আটঘরিয়া থানার লক্ষীপুর কালীবাড়িতে ২০ আগস্ট পাশবিক হত্যাকান্ড চালায়।এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ১৪ আগস্ট নগরবাড়ি মহাসড়কে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের জের হিসেবে।ঐ দিন পাবনা শহর থেকে বারো মাইল দূরে পাবনা–নগরবাড়ি মহাসড়কে মুক্তিযোদ্ধারা আম্বুস করে।ফলে পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দুজন মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে তাদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান জেনে নেয়া হয়।আনুমানিক বেলা সাড়ে বারোটার সময় পাক বাহিনী লক্ষীপুরে হামলা চালিয়ে স্কুলশিক্ষক নিরঞ্জন পাল, তাঁর দুই ভাই কমল পাল ও কুশল পাল এবং অমর ভদ্র,ধীরেন সর ও কানাই সর সহ ২৬ জন হিন্দু ও দুজন মুসলমানকে লক্ষীপুর কালীবাড়িতে ধরে নিয়ে যায়।কালীমন্দিরের বিগ্রহের সামনে তাদের লাইন করে দাড় করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এরপর পাকবাহিনী পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্রীপুরে হানা দেয়।গ্রামটির সমস্ত নারী পুরুষ ভয়ে আতংকে তখন গ্রাম ছেড়ে পলাতক।বর্বররা এখানে একটি মাত্র মানুষকেই খুঁজে পায়।নাম এম এ গফুর।তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানের বিশিষ্ট পল্লীগীতি শিল্পী।বর্বররা তাকেও সেদিন ক্ষমা করেনি।নিষ্ঠুরভাবে হত্যআ করা হয় তাকে।
[১৭] আবুল কালাম আজাদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত