কাতিয়ানালা গণহত্যা, সাতক্ষীরা
বাটিয়াঘাটা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম কাতিয়ানাংলা। কাজীবাছা নদীর তীরে এ গ্রামটি অবস্থিত। বাগেরহাট জেরার ফকিরহাট উপজেলার ঘাটতলা, বেতাগা প্রভৃতি গ্রামের শতশত লোক রাজাকার ও পাকসেনাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৯৭১ সালের ২৮ মে পৈতৃক ভিটামাটি ত্যাগ করে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। নারী, পুরুষ, শিশুসহ প্রায় ২০০ জন লোকবিশিষ্ট এদেরই একটি দল কাতিয়ানাংলা বাজারে প্রাতঃরাশ গ্রহণের জন্য যাত্রাবিরতি করে। এ সময় খুলনা থেকে মংলাগামী পাকসেনাদের গানবোট কাতিয়ানাংলা বাজারের কাছাকাছি তাঁদের লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি বর্ষণ করতে থাকে। ফলে প্রাণ রক্ষার্থে সমবেত মানুষ যে যেখানে পারে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এলাকা ত্যাগ করলে অনুকূলে ৯টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই ৯টি মৃতদেহ নদীর ধারে ভেড়ি বাধের ওপর পড়ে ছিল। অনুমান করা হয়, আক্রমণকারী হানাদার বাহিনীর গুলি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যারা নদীতে ঝাপ দিয়েছিল তাঁদের সলিল সমাধি ঘটে। বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকা মানুষের অনেকে হতাহত হয়। আক্রান্তদের সকলে বহিরাগত হওয়ার তাঁদের কারো পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পর এই এলাকার লোকজনও এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যায়।
[৯২] মোল্লা আমীর হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত