You dont have javascript enabled! Please enable it! কর্মধা গণহত্যা | মৌলভীবাজার - সংগ্রামের নোটবুক

কর্মধা গণহত্যা, মৌলভীবাজার

কর্মধা মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। পৃথ্বিমপাশা পূর্ব পাশে ভারতীত সীমান্ত বরাবর এর অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্মধা দিয়ে মাঝেমধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে অপারেশন পরিচালনা করত। ফলে এই এলাকার ওপর ভয়ানক আক্রোশ থাকায় পাকবাহিনী প্রায়শ হানা দিত এখানকার বিভিন্ন গ্রামে। নারী নির্যাতন করত যখন-তখন। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ছিল নিত্যদিনকার ব্যাপার। জুন মাসের একদিন টাটিউলির মকবুল হোসেনকে নিজের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকবাহিনী। আটক করার পর তাকে পাঠানো হয় কুলাউড়ায়। তারপর তাকে হত্যা করে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়। একই দিন বাড়ি থেকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে যায় বুধপাশার আওর আলী এবং দিঘলকান্দির ন্মই উল্লাকে। তাঁদের ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। মুমূর্ষু অবস্থায় এরপর গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদেরকে। কামারকান্দির আব্দুল মালিককে পাকবাহিনী কর্মধাস্থ তাঁর ফুফুর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। গ্রামের আব্দুল হাই ছিলেন তখন ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ের একজন হিসাবরক্ষক। পাকবাহিনী তাকে হত্যা ক্রএ তাঁর কর্মস্থলেই। দেওগায়ের ছনই, বুধপাশার সৈয়দ মছদ্দর আলী ও ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি আব্দুল করিম চৌকিদার পাঠিয়ে পৃথ্বিমপাশায় নিয়ে আসে বহু লোককে। তারপর ধৃত লোকজনের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এছাড়া দৈহিক নির্যাতন চালানো হয় মালিক সিংহ, দেববন্ধু সিংহ, রাজমোহন সিংহ, প্রহ্লাদ সিংহ, অশীন দে ও বাবান সিংহের ওপর।
[৪৬] তাজুল মোহাম্মদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত