You dont have javascript enabled! Please enable it!

৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ — পূর্বাঞ্চল

মেজর শফি উল্লাহ তেলিয়া পাড়া অবস্থান করেন। সেখানে জিয়া এবং খালেদ মোশাররফ ছিল। ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভুইয়া জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। চট্টগ্রামে দুইজন এক সাথে কাজ করেছিলেন। জিয়া শফিউল্লাহ র কাছে দুই কোম্পানি সৈন্য চান। শফিউল্লাহ জিয়াকে এক কোম্পানি সৈন্য দেন। তেলিয়া পাড়ায় তখন লেঃ আজিজ এর এক কম্পানি এবং ক্যাপ্টেন মতিনের এক কোম্পানি সৈন্য অবস্থান করে।  এদিন মেজর শফিউল্লাহ শক্তির ভারসাম্য বিবেচনা করে পাক বাহিনীর উপর আক্রমন করা বন্ধ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেন এর অংশ হিসেবে তিনি ভৈরবের কাছে রামপুর ব্রিজ ধ্বংস করান এবং কিশোরগঞ্জে একটি রেল ব্রিজ ও একটি রোড ব্রিজ ধ্বংসের পরিকল্পনা করেন। ভৈরব ব্রিজ ধ্বংসের ও চিন্তা ভাবনা করেন। গোড়ান-সাটিয়াচরায় পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী ৭২ এমএম আরআর ও ১২০ এমএম কামানের গোলা ও হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগানের গুলি বৃষ্টি করে মুক্তিবাহিনীর ডিফেন্স ভেঙ্গে দেয়। এতে তেইশ-চব্বিশজন ইপিআরসহ তিরিশজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন।