৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ – দিনাজপুর
সুবেদার খালেকের দল দিনাজপুর গমন করে। সেখানে তারা স্থানীয় সরকারী বেসরকারী নেতা ও কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেন। ঠাকুরগাঁও থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে সুবেদার হাফিজকে ১০ মাইল মোড়ের আড়াই কিমি পূর্বে মোতায়েন করা হয়। সেখানে ক্যাপ্টেন আশরাফের সি কোম্পানী তাদের সাথে মিলিত হয়। লেঃ আনোয়ারের বি ও ডি কোম্পানি ঘোড়াঘাট থেকে সরিয়ে ফুলবাড়ি মোতায়েন করা হয়। এখানে শক্তি ছিল প্রায় ৪৫০ জন। এদের পুনঃ বিভাজন করে তিনটি কোম্পানী করা হয়। এই মাইনাস ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক হন মেজর নিজাম। ক্যাপ্টেন আশরাফ একটি কোম্পানী অধিনায়ক থাকেন। লেঃ মোখলেসকে দেয়া হয় এক কোম্পানী অপর কোম্পানির দায়িত্ব দেয়া হয় লেঃ আনোয়ারকে। আশরাফের কোম্পানী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দপুরের ৩ মাইল পশ্চিমে। সেখানে যাওয়া মাত্রই কোম্পানীটি পাক বাহিনীর আক্রমনের মুখে পড়ে। মোখলেসের কোম্পানী নীলফামারী দিয়ে সৈয়দপুরের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি চলে। লেঃ আনোয়ার সদর ও তার কোম্পানী নিয়ে ফুলবাড়ী থেকে সরে খোলাহাটিতে অবস্থান নেয়। ৩-৪ তারিখে সুবেদার কাজিম ক্যাপ্টেন আশরাফ, মেজর এমএইচ চৌধুরী, মেজর এম টি হোসেন ভাতগাও ব্রিজে বৈঠক করেন। এখানে সম্মিলিত বাহিনীকে আবার রি গ্রুপিং করা হয়। সুবেদার মজিদ একটি দল নিয়ে চলে যান নীলফামারী। নায়েব সুবেদার আমির আলী নায়েব সুবেদার মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিলদার আবুল কালাম এর প্লাটুন, ক্যাপ্টেন আশ্রাফের কোম্পানী সুবেদার আব্দুল্লাহ এবং নায়েব সুবেদার নাসির সহ, সুবেদার হাফিজের কোম্পানী ভুষির বন্দর অবস্থান নেয়। নায়েব সুবেদার কাওসার, নায়েব সুবেদার জাহিদুল হোসেন এর দল অবস্থান নেয় বদরগঞ্জ। একটি প্লাটুন নায়েব সুবেদার লুতফর রহমান এবং হাবিলদার কিবরিয়ার দলকে মোতায়েন করা হয় রাজবাড়ী রানীনগর পয়েন্টে।