আড়াইহাজার থানা গণহত্যা ও নির্যাতন, নারায়ণগঞ্জ
পাকসেনারা আড়াইহাজার থানার ৭ জন হিন্দু লোককে এপ্রিল মাসের ১৫-১৬ তারিখে হত্যা করে। যুবতী মেয়েদের ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে।
প্রভাকরদির দুজন রাজাকার গোলাম মোস্তফা ও ফারুক পাকসেনাদের আড়াইহাজার থানার খবরাখবর প্রেরণ করত। মুক্তিযোদ্ধারা এটা জানতে পেরে গোলাম মোস্তফাকে থ্রি নট থ্রি রাইফেল, আশি রাউন্ড গুলি ও ৪টি গ্রেনেডসহ গ্রেফতার করে থানা কমান্ডারের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে মোস্তফা ও ফারুক দুজনেই স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন।
আড়াইহাজার থানার রাজাকার আতাদি গ্রামের ফজলুল রহমান, এরফান ভূঁইয়া, মনির, সাকি, শান্তি কমিটির সভাপতি পূর্ব আতাদি গ্রামের আকরাম উদ্দীন ভূঁইয়া, শম্ভুপুরা গ্রামের আলমগীর, মোহনপুর গ্রামের সোনামিয়া এরা আড়াইহাজার থানার গ্রামগুলতে নির্যাতন ও লুটপাট করে এবং হিন্দুপাড়ার যুবতী মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকসেনাদের ক্যাম্পে পৌছে দেয়। যুবতীদের ওপর হায়েনারা চালাত পাশবিক নির্যাতন। এসব রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধারা আড়াইহাজার থানা থেকে উতখাত করলে তারা নারায়ণগঞ্জে এসে আশ্রয় নেয়।
ধরগা গ্রামে খানসেনারা প্রবেশ করে বাড়ি থেকে হাঁস – মুরগি ধরে নিয়ে যায়। মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করে। সংবাদটা শোনামাত্র মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের শায়েস্তা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আগস্ট মাসে পাকসেনারা এমপি ডা. সাদত আলী সিকদারের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় এবং ঘোষণা দেয় কোনো এমপি, এম. এন. এ ধরে দিতে পারলে তাকে আড়াই লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত