আড়ংঘাটা গনহত্যা, বাগেরহাট
দৌলতপুর থানার গ্রাম আড়ংঘাটা। ২৮ মার্চের পর পাকসেনা ও বিহারীরা খুলনা শহরে ব্যাপক গনহত্যা শুরু করলে শহর থেকে পালিয়ে আসা শতশত মানুষ আড়ংঘাটাসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে আশ্রয় নেয়। ১৯ এপ্রিল খুলনা জেলা রাজাকার বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ মনিরুল ইসলাম ওরফে মনু শেখ কয়েকটি গাড়ি ভর্তি পাকসেনা ও রাজাকার নিয়ে এ গ্রামের ওপর হামলা চালায়। অবশ্য এতদিনে আশ্রয় নেয়া শহরবাসীরা অন্যত্র চলে যায়। মনু শেখের বাহিনী আড়ংঘাটায় পৌছাবার পূর্বে এর পূর্ববর্তী গ্রাম গাইকুড়ের গাজীবাড়ির সামনে গাজী আমজাদ হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। এরপর তারা আসে আড়ংঘাটা গ্রামের কিরণ চন্দ্র সরদারের বাড়ি। তারা কিরণ চন্দ্রের বাড়িসহ আশেপাশের বাড়িসমূহে তল্লাশী চালিয়ে কিরণ চন্দ্রসহ ৭ জনকে ধরে এন পিঠ মোড়া করে বেঁধে ব্রাশফায়ার করে চলে যায়। এঁদের মধ্যে মালুরাম ঢালী নামক এক ব্যক্তির পেটে গুলি লাগায় সে তখন বেঁচে গেলেও কয়েকদিন পর মারা যায়। ঘটনাস্থলে নিহত ৬ জনের লাশ কিরণ চন্দ্রের বাড়ির আঙ্গিনায় গণকবর দেয়া হয়।
[৯২] মোল্লা আমির হোসেন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত