আটয়ারি গণহত্যা, পঞ্চগড়
৪ আগস্ট পাকবাহিনীর দোসররা আটোয়ারী থানার ধামোর ইউনিয়ন থেকে ২০-২৫ জন লোককে ধরে নিয়ে যায় ডাঙ্গির হাট পাকিস্তানি ক্যাম্পে। মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তছলিমউদ্দিনও ছিলেন ঐ দলে। একই দিনে তছলিম উদ্দিনের ড্রাইভার ফরিদপুর নিবাসী শেখ আ. রহমান পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকসেনাদের সামনে পড়েন। তাকে নাম জিজ্ঞেস করার পর নাম শুনে তারা বলে যে, দিনাজপুর বিডিআর সেক্টর কমান্ডারের ড্রাইভারের নামও আ. রহমান। এঁরা নিশ্চয়ই একই ব্যক্তি এবং কর্নেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। ড্রাইভার আ. রহমানকে ধরে হত্যা করা হয় ঐ রাতেই। অন্যান্যদের দীর্ঘ সময় ধরে ক্যাম্পের সামনে আলের ওপর বসিয়ে রাখা হয়। পরদিন বিকেলে তছলিম উদ্দিন চেয়ারম্যানকে ঠাকুরগাঁও ক্যান্টনমেন্টে নেয়া হলে সেখানকার কমান্ডার তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ডাঙ্গি ক্যাম্পে সৈন্যরা তাকে সঙ্গে করে ফিরিয়ে নিয়ে আসে কিন্তু ছেড়ে দেয় না, অন্যান্য কয়েকজনের সঙ্গে সেই আলের পাশেই ৬ আগস্ট গুলি করে হত্যা করে। ডাঙ্গি কলেজের সামনে তছলিম উদ্দিনসহ তিনজনের কবর এবং পুকুরের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য গণকবর।
[৫২] নাজমুল হক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ (দ্বিতীয় খণ্ড) – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত