৩ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- চুয়াডাঙ্গা
ফরাসি টেলিভিশন কর্পোরেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ দল মুক্তিবাহিনীর চুয়াডাঙ্গাস্থ সদর দফতরে আসে। আলফানসো নামে বিখ্যাত টেলিভিশন সাংবাদিক মেজর ওসমান চৌধুরীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। সাংবাদিকরা মেজর ওসমান চৌধুরীর দুই কন্যা এবং স্ত্রীর সাক্ষাৎকার গ্রহন করে। ক্যাপ্টেন এ আর আজম কুষ্টিয়ায় দখল কৃত সকল অস্র যানবাহন নিয়ে সদর দপ্তর চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। চিত্রগ্রাহকরা এ সকল অস্র ও গাড়ীর ভিডিও ধারন করে তারা। তারা যুদ্ধবন্দী লে. আতাউল্লাহ শাহ এর সাক্ষাৎকার গ্রহন করে। সাক্ষাৎ পর্বের পরপরই চুয়াডাঙ্গায় পাক বিমান বাহিনী নাপাম বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে আক্রমন করে। ভিডিওতে দেখা যায় আলফানসো প্রথমে ট্রেঞ্চ এ আশ্রয় নেন পরেই সাংবাদিক টীম বিমান হামলার দৃশ্য ধারন করে। এ ফুটেজটি সে টেলিভিশন কোম্পানি এক মাসেই ৫১ টি দেশে বিক্রয় করেছিল। এ হামলায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় ও বহু লোক আহত হয়। হামলায় চুয়াডাঙ্গা ইপিআর হেড কোয়াটার ধ্বংস হয়। এদিন চুয়াডাঙ্গায় আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করপুরি ঠাকুর এবং বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি মহারাষ্ট্র এর সম্পাদক মনু ভাই ভিমানি মেজর ওসমানের সাথে সাক্ষাৎ করে ত্রান সামগ্রী দেন।