You dont have javascript enabled! Please enable it!

বিপ্লবী বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর ১৯৭১

অসংখ্য হানাদার খতম

৩০শে অক্টোবর, নোয়াপুরে মুক্তি বাহিনীর দুঃসাহসী যোদ্ধারা পাক সৈন্যদের উপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ৬ জন শত্রু সৈন্যকে খতম করে এবং দুটি শক্তিশালী বাঙ্কার ধ্বংস করতে পেরেছে। ঘটনার পূর্বদিন ফুলগাজীতে মুক্তি বাহিনী মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালিয়ে আরো ১০ জন পাক সৈন্যকে হত্যা করে। ঐদিন একই এলাকায় মুক্তি বাহিনীর অন্য একটি দল গেরিলা পদ্ধতিতে তৎপরতা চালিয়ে ৫ জনকে নিহত এবং ৬ জনকে আহত করতে সমর্থ হয়। তাছাড়া অক্টোবরের সাতাশ ও আটাশ তারিখ মুক্তি বাহিনীর অসম সাহসী তরুণরা অনন্তপুরে বে-পরোয়া আক্রমণ চালিয়ে ১৬ জন শত্রু সৈন্য নিধন করে এবং আরো ১০ জনকে মারাত্মক ভাবে জখম করে। ঐ আক্রমণে বাংলাদেশের বীর সন্তানরা শত্রুদের ৩টি বাঙ্কার নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই ঘটনার দু’দিন আগে আড়াইবাড়িয়ে মুক্তি সেনারা অন্য একটি আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা মারাত্মক আক্রমণের ‍মুখে হানাদার সৈন্যরা টিকে থাকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। সেই আক্রমণে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয় ও ৪০ জন গুরুতর আহত হয় এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
২৮শে আক্টোবর কুমিল্লা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও দখলদার সৈন্যদের মধ্যে মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। এই সম্মুখযুদ্ধ শুরু হয় যখন পাক সৈন্যরা কোর্টবাড়ির কোতোয়ালী থানা এলাকায় মুক্তি যোদ্ধাদের উপর হঠাৎ আক্রমণ করে। দীর্ঘ তিন ঘন্টার যুদ্ধে বাঙলার মুক্তিপাগল বীর যোদ্ধারা ৯৫ জন হানাদার সৈন্যদের হত্যা করেন এবং বহু সৈন্যকে মারাত্মকভাবে জখম করেন। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৪ জন তরুণ যোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়।

সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!