বিপ্লবী বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর ১৯৭১
রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছে
ময়মনসিংহ-সিলেট রণাঙ্গন :
অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা ময়মনসিংহ জিলার নোকলা, নলিতাবাড়ি, পূর্বধলা এবং দুর্গাপুর থানায় কয়েকটি উপর্যুপূরি আক্রমণ চালিয়ে ১০ জন অনিয়মিত শত্রুসৈন্য খতম করেন এবং বেশ কিছু সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেন। ২৯শে অক্টোবর ঠাকুরকোনার নিকটে পাক টহলদার সৈন্যদলের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা ২ জন নিয়মিত, ৪ জন অনিয়মিত, শত্রুসৈন্য হত্যা করতে সমর্থ হন। ওই দিন মুক্তিবাহিনী জামালপুর ও বাহাদুরাবাদ ঘাট এর মধ্যবর্তী এলাকায় রেললাইন উড়িয়ে দিতে সমর্থ হন। তাঁরা ঐ সময় পাহারারত ২ জন রাজাকারকে জীবিত অবস্থায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন। ২৮শে অক্টোবর মুক্তি সেনারা ধলাই চা বাগানে অবস্থানরত শত্রুসৈন্যের উপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার যুদ্ধে ১ জন ক্যাপ্টেন সহ ২১ জন শত্রুসৈন্য নিহত হয় এবং তদুপরি আরো বহু অনিয়মিত সৈন্য নিহত হয়। এই যুদ্ধে আমাদের ৩ জন বীর যোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন। তাছাড়া মুক্তি সেনারা বারলেখা এবং কাটলিমারার মধ্যবর্তী রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে পাক সেনাদের দারুণ অসুবিধার সৃষ্টি করেন।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ আমুরা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ও নিয়মিত সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়ে ২ জন হানাদার শত্রুকে নিহত করেন। ত্রিমোহিনীতে পাক সৈন্যদের সঙ্গে আরেকটি মারাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে মুক্তি যোদ্ধারা ১২ জন পাকসৈন্যকে খতম করেন। এই যুদ্ধে বাঙলা দেশের একজন তরুণ যোদ্ধা শহীদ হন।
সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল