বিপ্লবী বাংলাদেশ
১৭ অক্টোবর ১৯৭১
পাক সরকারের স্বীকারোক্তি
বাংলাদেশের জনজীবন স্বাভাবিক ও সাবলীল ভাবে চলছে বলে পাক সরকারের বিভ্রান্তিকর মিথ্যে প্রচার কার্য্য বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীকে কিভাবে ধাপ্পা দিচ্ছে নিম্নে প্রদত্ত পাক সরকারের কয়েকটি গোপনীয় ‘সারকুলার’ তা ফাঁস করে দিয়েছে :
অনুলিপি :
No. 482 (158)-Poll/5(1) Govt. of East Pakistan Home (Political) Deptt. Fornigntly Secret Report on the situation in East Pakistan for the first half of Aug. 1971
১৭ নং
কুমিল্লা, রাজশাহী, যশোহর বোর্ড কর্তৃক অনুষ্ঠিত স্কুল ফাইন্যাল ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গত ৫-৮-’৭১ তারিখে এবং ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা ১২-৮-’৭১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম।
১৯ নং
পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও কলেজগুলো গত ২-৮-’৭১ তারিখ হ’তে খোলা হয়েছে কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ধারণা করা হচ্ছে অধিকাংশ ছাত্র ও আওয়ামি লীগের বিগত অসহযোগ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিল এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাঁরা কারারুদ্ধ হয়েছে।
বিবিধ
বিভিন্ন জেলায় বিপ্লবীদের এক পক্ষকালের ক্ষয় ক্ষতির খতিয়ান :
(ii) খুলনার পারুলিয়া অঞ্চলে ‘হাইওয়ে-ব্রিজ’ পাহারারত একজন এ-এস-আই এবং দুজন কনেষ্টবল মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে নিহত হয়।
(iv) গত ৬-৮-’৭১ তারিখ রাত তিন ঘটিকায় ৪০ জন মুক্তি বাহিনী যশোহরের শৈলকুপা থানা আক্রমণ করে সি-ও, এসআই এবং কয়েকজন কনেষ্টবলকে ধরে নিয়ে যায়, এবং থানার প্রভুত ক্ষতি সাধন করে।
(xv) গত ১০-৮-’৭১ তারিখ অনুমানিক ১২-১৫ মিনিটের সময় মুক্তি বাহিনীর এক অতর্কিত আক্রমণে ৯১ নং বৈদ্যুতিক ‘টাওয়ার’ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। ইহা ছাড়া ঢাকার অন্তর্গত জয়দেবপুর সড়কের উপরিস্থিত কয়েকটি বৈদ্যুতিক পোল বিনষ্ট করে দেয়।
যথাক্রমে ২-৮-’৭১, ৬-৮-’৭১ এবং ১১-৮-’৭১ তারিখে ঢাকার জিন্না এভিনিউ, নিউ মার্কেট বাসষ্ট্যান্ড এবং ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল’ মুক্তি বাহিনীর হাতবোম ও গ্রেনেড আক্রমণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল