বিপ্লবী বাংলাদেশ
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
পাক দূতাবাসে বাঙালী কর্মচারীর উপর নির্মম অত্যাচার
৩১শে আগষ্ট, ভারত। নয়াদিল্লী (ভারতীয় প্রতিনিধি-মারফৎ) সহ পাক হাই কমিশনের একজন বাঙালী কর্মচারী জনাব গোলাম মোস্তাফাকে বেদম মারধোর করা হয়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, জনাব গোলাম মোস্তাফা হাই কমিশনের অনুমতিক্রমে অত্যাবশ্যকীয় জিনিষপত্র কেনার জন্য বাইরে যাবার উদ্যোগ করছিলেন; তখন তাঁকে বাধা দিয়ে বলা হয়, বাইরে যাবার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। তখন মিঃ মোস্তাফা অস্থায়ী হাই কমিশনার মিঃ আবদুল সাত্তারের সঙ্গে দেখা করেন এবং অনুমতি প্রার্থনা করেন। তখন আবদুল সাত্তার সাহেব বাঙালীর প্রতি বিদ্বেষ পরায়ণ হয়ে অহেতুক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে জনাব গোলাম মোস্তাফাকে শায়েস্তা করবার জন্য গোয়েন্দা অফিসার আমেদ জাবেদ শাহকে হুকুম দেন। তখন বর্বর আমেদ জাবেদ এবং সহকারী মহম্মদ ইয়াসিস ঝাঁপিয়ে পড়ে জনাব গোলাম মোস্তাফার উপর। তিনি যতক্ষণ না বেহুঁশ হয়ে পড়েন ততক্ষণ পর্যন্ত এই হিংস্র পশুর দল অত্যাচার চালিয়ে যায়। জনাব গোলাম মোস্তাফা দূতাবাসের ডিসপেন্সারীর একজন কম্পাউন্ডার। এই দূতাবাসে ২২ জন বাঙালী কর্মচারী আছেন। এঁরা পরিবার-বর্গ নিয়ে দূতাবাসের মধ্যে একরকম বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁরা কয়েক মাস পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন না। এঁদের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয় হয়ে উঠেছে।
সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল