You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.02 | বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ— লালমনিরহাট | উভয় পক্ষরই অনেক সেনা হতাহত হয় এবং পাকিস্তান আর্মি পিছু হটে - সংগ্রামের নোটবুক

২ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ— লালমনিরহাট

৩১ মার্চ পাকিস্তানীরা পরাজয়ের পর তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে ১ এপ্রিল পুনরায় তিস্তা ব্রিজ অতিক্রমের চেষ্টা করলে সারা দিন তুমুল যুদ্ধ হয়। এ সময় উভয় পক্ষরই অনেক সেনা হতাহত হয় এবং পাকিস্তান আর্মি পিছু হটে। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নতুন দল ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রংপুর সেনানিবাস থেকে পরদিন এসে আবার আক্রমণ চালায়। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রথমে গোলাবর্ষণ করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ব্যাপক গোলাবর্ষণের মুখে বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা পাঁচ-সাতশ গজ পিছু হটে অবস্থান নেন। কিন্তু এরশাদ আলীসহ কয়েকজন নিজ নিজ বাংকারেই থাকেন। বিপুল বিক্রমে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই করতে থাকলেন। তাঁর সাহস ও বীরত্বে উদ্দীপ্ত হলেন আরও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা নিজ নিজ বাংকারে থেকে যুদ্ধ করছেন। এমন সময় গুলি এসে লাগল এরশাদ আলীর বুকে। বাংকারে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ। রক্তে রঞ্জিত বাংকারে পড়ে থাকল এরশাদ আলীর( বীর উত্তম) নিথর দেহ। যুদ্ধের একপর্যায়ে আতাহার আলী মল্লিক (বীর বিক্রম) শহীদ হন। পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান দখল করে নেয়। পরে তাঁদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পাকিস্তান আর্মি তিস্তা ব্রিজ অতিক্রম করে লালমনিরহাট ও পরে কুড়িগ্রাম শহর দখল করে।