বিপ্লবী বাংলাদেশ
২৯ আগস্ট ১৯৭১
শেখ মুজিবর রহমানকে বিষ প্রয়োগের হত্যার চেষ্টা
মুজিবনগর ১৮ই আগষ্ট। এখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি ন্যায় বিচারের পক্ষপাতী এমন একজন পশ্চিম পাকিস্তানী সেনানীর কাছ থেকে জানা যায়—লায়ালপুরের ভয়াবহ কারাগারের মধ্যে শেখ মুজিবর রহমানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
ঘোষনায় প্রকাশ, শেখ মুজিবরকে দেশদ্রোহী হিসাবে জঙ্গী শাসকের গোপন আদালত কক্ষে হাজির হবার জন্যে একখানি লিখিত সমন হাজির করে তাতে সহি করতে বলা হয় কিন্তু মুজিব তাতে অস্বীকৃত হন।
দ্বিতীয় আর একখানি কাগজে তাকে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যে নাম সহি করে দিতে বলা হয় কিন্তু শেখ সাহেব দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়ে ইয়াহিয়াখানের প্রেরিত সৈনিকের দিকে কাগজখানি ছুঁড়ে দেন।
এর পরেই জেলখানার মধ্যে এক কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হয়। ডাক্তারের আসা যাওয়া বেড়ে যায়, একঘন্টার মধ্যে তিনবার ডাক্তার এসে বাংলাদেশের নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছে—আপনি কেমন বোধ করছেন? মুজিব হেসে জবাব দিয়েছেন ভালো।
এরপরেই ঘটনার কথা ফাঁস হয়ে পড়ে এবং কারাগারে মুজিবের বিশেষ রক্ষী হিসেবে কর্ণেল জুম্মান আবাদির ডাক পড়ে এবং তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় কারণ মুজিবের খাবার এবং পানীয় জলের খাদ্যে বিষ মিশিয়ে দেবার দায়িত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু এই মহান সৈনিক বাংলাদেশের এই মহান নেতাকে কাপুরুষের মতো হত্যা করে সৈনিকের অমর্যাদা করতে চান নি। কিন্তু নরাধম ইয়াহিয়া কর্ণেল জুম্মানকে বেশিক্ষণ বাঁচতে দেয়নি।
সূত্র: বিপ্লবী বাংলাদেশ ফাইল