You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.29 | প্রেতাত্মাদের প্রতিরোধ! | বিপ্লবী বাংলাদেশ - সংগ্রামের নোটবুক

বিপ্লবী বাংলাদেশ
২৯ আগস্ট ১৯৭১

প্রেতাত্মাদের প্রতিরোধ!

—শ্রীশক্তি
পৃথিবীর নিকৃষ্টতম এবং পাকিস্তানের তথাকথিত মহানায়ক সাহেব মহানিশ্চিন্তে ‍ঘুমোচ্ছিলেন। একটু আগেই নরক্তক্তে পেট টইটুম্বুর করে এসেছেন!
হঠাৎ মাথায় চাটি পড়তে ধরফর করে ব্যাঙের মত উঠে বসলেন। সামনে প্রেতাত্মাদের দেখে গরুর মত চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইল যেন। অমন সুন্দর চেহারা আমসত্ত্বর মত চুপসে গেল। তা দেখে প্রেতাত্মারা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল।
—কি হে নরপিশাচ রাষ্ট্রনায়ক সাহেব, ভয়ে যে একেবারে চুপসে গেলেন?
—তোমরা আবার এসেছ কেন?
—আপনি আমাদের হত্যাকারী, আপনার কাছে আসব না তো কার কাছে যাব!
—তোমাদের তো বলে দিয়েছি হত্যা আমি করেছি পাকিস্তান রক্ষা কোরবার জন্য। প্রয়োজন হলে আরো কোরব।
—হ্যাঁ তা কোরবেন। আপনি তা পারেন। কিন্তু এত করেও কি আপনার পাকিস্থান রক্ষা হবে?
—নিশ্চয় হবে, তবে—
—তবে গিয়ে বাংলার দুষমনগুলোর হাতে মার খেতে খেতে প্রাণ এখন “আই যাই” করছে! তা প্রতিদিন তো অনেকগুলো পশু মারা যাচ্ছে আপনার; এরপরও স্বপ্ন আপনার খাঁচায় বন্দী থাকবেন ভেবেছেন?
—চোপ রও বেয়াদপের দল। ঘোৎ ঘোৎ করে উঠল খানসাহেবের কন্ঠস্বরটা। যেন পাগলা কুকুর!
—আহা রাগে ফুলছেন কেন, রাগ হলে আপনাকে আবার ঢাকের মত দেখায়—শেষে আবার আমার সাগরেদরা আপনার উপর ঢাক পিটোতে না শুরু করে!
—তোমরা আমাকে কি হলে মুক্তি দেবে বলতে পার?
প্রেতাত্মাদের মনে হল পাকিস্থানের বীর জঙ্গীশাহী যেন ভেড়া হয়ে গেছেন এই মুহূর্তে।
—থাক, থাক, ওঁকে আর তোমরা ক্ষেপিও না। দেখছ না পাক শার্দুলের ভ্যা করে কেঁদে ফেলবার উপক্রম হয়েছে! যাক্, এবার কাজের কথায় আসা যাক্। আমরা কেন এসেছি তাই শুনুন মহাপতি নরঘাতক, আমরা সমস্ত প্রেতাত্মা ঠিক করেছি আপনার মাথা ন্যাড়া করে, ঠান্ডা ঘোল ঢালব—কারণ আপনার মাথার ঠিক নেই। গড়বড় হয়ে উঠেছে। কখন কি বলছেন তার ঠিক থাকছে না। না হলে বাংলার সাড়ে সাত কোটি তথা পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত মানুষের একমাত্র বন্ধু বঙ্গবন্ধুর বিচার কোরবার সাহস হত না। তাইতো বলছি, আপনার ভাষায়ই বাংলা দেশের দুষ্কৃতিকারীগুলোর হাতের মার খেতে খেতে আপনার মাথার ঘিলু ঢিলে হয়ে গেছে। ঢিলে মাথায় একমাত্র দাওয়াই দিতেই এসেছি আপনাকে। বলতে বলতে সমস্ত প্রেতাত্মারা এগিয়ে গেল খানসাহেবের দিকে—অবস্থা বেগতিক দেখে ম