বাধ্যতামূলকভাবে উর্দু শিক্ষা
করাচীর ডন পত্রিকায় এই পাগলামী শীর্ষক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে পূর্বপাকিস্তান মােছলেম লীগের প্রচার সম্পাদকের সাম্প্রতিক বিবৃতির নিন্দা করা হইয়াছে। পূর্বপাকিস্তান মােছলেম লীগের প্রচার সম্পাদক তাহার বিবৃতিতে স্কুলসমূহে উর্দুকে বাধ্যতামূলক শিক্ষণীয় বিষয় হিসাবে প্রবর্তন করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠানের জন্য জনসাধারণের নিকট অনুরােধ জানান।
সম্পাদকীয় প্রবন্ধে বলা হইয়াছে এতদ্বারা কোন কিছুর মঙ্গল সাধিত হইবে বলিয়া তিনি যদি মনে করিয়া থাকেন তাহা হইলে তিনি শােচনীয়ভাবে ভুল করিবেন। বৰ্ত্তমান মুহূর্তে আরও প্ররােচনার কারণ না ঘটাইয়া উহা প্রশমিত করার চেষ্টা করাই পাকিস্তানের দরদী মাত্রেরই কর্তব্য হইবে। বর্তমানে বিপিসি বলিতে বাঙ্গালা-পাঞ্জাব বিরােধ এই মৰ্মান্তিক তাৎপর্য বুঝাইতেছে। পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যাহারা মনে করেন যে, পাকিস্তান তাহার পশ্চিমাঞ্চলগুলির এলাকাগুলি লইয়া বরাবর টিকিয়া থাকিতে পারিবে তাহাদের জ্ঞান বুদ্ধি সুস্থ বলিয়া মনে করা যায় না। অনুরূপভাবে পূর্বপাকিস্তানীদের মধ্যে যাহারা সংখ্যাধিক্যের উপর গুরুত্ব দান করিয়া পশ্চিম পাকিস্তানীদের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন করিয়া থাকিবেন তাহারাও কম পাগল নন। কারণ তাহাদের এই মনােভাব হইতে যে পাকিস্তান ধ্বংস হইয়া যাইতে পারে ইহা তাহারা ভাবিয়া দেখেন না।
ঢাকা প্রকাশ
১৫ মার্চ, ১৯৫৩
পৃ. ৬
সূত্র: ভাষা আন্দোলনের দলিলপত্র – রতন লাল চক্রবর্ত্তী সম্পাদিত