You dont have javascript enabled! Please enable it!

দৈনিক পয়গাম
১লা নভেম্বর ১৯৬৭

রাজনৈতিক হালচাল

স্পষ্টভাষী কাঁচা বয়সে বড় লােকের ছেলেপিলেদের অনেকেই বামপন্থী হয়। বিলাতে ও পাশ্চাত্য দেশে ত ওটা একটা ফ্যাশন। অবশ্য আবার এরূপও দেখা যায় যে, দিনের বেলার বামপন্থী রাতের বেলায় ডানপন্থী, দিনের বেলার কমুনিষ্ট রাতের বেলায় কামনিষ্ট হইয়া হােটেলে-বারে নাইটক্লাবে “সর্বহারা বিপ্লব” সাধন করিয়া একেবারে শ্ৰেণী-বর্ণ-ধর্মহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু মূলে ভুল তাদের মােটেই হয় না। পান- ভােজনে, ভােগ-বিলাসে, বক্তৃতাবিবৃতিতে যত “বিপ্লব”-ই তারা করুক, নিজেদের জমিদারী, ফ্যাক্টরী, ইণ্ডাষ্ট্রী চালাইতে গিয়া প্রজা-ঠ্যাঙ্গানাে, শ্ৰমিক-নিঙড়ানাের ব্যাপারে কারাে চেয়ে তারা কম যায় না। আমাদের দেশের একজন বিরাট বড়লােকের বামপন্থী সন্তানকে আমরা জানিতাম, যিনি একদিকে “বিপ্লবও” করিতেন, আবার অন্যদিকে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা আয়ের বিশাল জমিদারী, বিভিন্ন শহরে বহুবালাখানা, অসংখ্য দাস-দাসী, গােলাম-বান্দী, ডজন দেড়েক মূল্যবান মােটর গাড়ীর মালিক এবং বহু সংখ্যক ভাড়া-বাড়ীর ল্যাণ্ডলর্ড হিসাবে শাহী কায়দায় “সর্বহারা” জীবনযাপন করিতেন। বিপ্লবের বন্দুক সাফ করা ও চাকুতে শান দেওয়ার জন্য বছরে কয়েকবার করিয়া বিলাতে, কন্টিনেন্টেও ঘুরিয়া আসিতেন। আবার বামপন্থী সুবাদে কোন কোন সমাজতন্ত্রী দেশের সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসাও বাগাইয়া লইয়া লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা করিতেন। এরূপ “বিপ্লবী” হইতে পারিলে আর ঠেকা কি? আসলে এই শ্রেণীর বামপন্থীগিরিও এক ধরনের ব্যবসা। এবং এরূপ ব্যবসা চলেও ভাল। গাছের আগারটাও খাইতে ও তলারটাও কুড়াইতে পারিলে লােকশানের আর ভয় কি?
আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমানের “সর্বহারা” ভুট্টো সাহেব একজন বামপন্থী। আগে ততটা জানিতাম না, এখন জানিতেছি। একজন বড়লােকের ছেলের বামপন্থী’ হইতে যা যা গুণাবলী থাকা দরকার সবই তার আছে এবং পুরা মাত্রায়ই আছে। বিপুল পৈত্রিক সম্পত্তি আছে, বাড়ীগাড়ী, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স সবই আছে। এরূপ সর্বহারাদের বিপ্লবী বামপন্থী রাজনীতি করিতে আর অসুবিধা কি ? জনগণের জন্য ইহাদের হৃদয় বড় কাদে এবং দিনের চেয়ে রাত্রিবেলাতেই একটু বেশী কাঁদে। প্রাণের বেদনা যখন আর চাপিয়া রাখিতে পারেন না, তখন মেট্রোপােল, বীচ লাক্সসারী বা কন্টিনেন্টালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে প্রেস কনফারেন্স ডাকিয়া অথবা বিশেষ ধরনের পার্টি জমাইয়া ইহারা জনগণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কাদিয়া হৃদয়ের ভার লাঘব করেন। প্রাণের বেদনা লাঘব করিতে না পারিলে রাত্রে আবার ইহাদের চোখে ঘুম আসে না, স্লিপিং পিল খাইতে হয়। বামপন্থী ভুট্টো সাহেব পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি প্রাণের টানে সম্প্রতি ঢাকায় আসিয়াছিলেন। স্থানীয় সব বৃহৎ হােটেলে কয়েক রাত্রি যাপন করিয়া হােটেলের এয়ারকণ্ডিশন হলে যথারীতি প্রেস কনফারেন্স ডাকিয়া, আসমানজমিনের মধ্যবর্তী প্রায় সমুদয় বিষয়ে স্বীয় অমূল্য অভিমত ব্যক্ত করিয়া এবং চিরাচরিত অভ্যাসমত বিভিন্ন জনকে কনফ্রন্টেশনের চ্যালেঞ্জ ছুড়িয়া মারিয়া। ভুট্টো সাহেব ঢাকা ত্যাগ করিয়াছেন। প্রকাশ, ঢাকার তিনি বিরােধী দলীয় দুই-চারি জনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎও করিয়াছিলেন। কিন্তু কাহারও নিকট হইতেই কোন উৎসাহ বা সাড়া পান নাই। দুঃখের বিষয়, পূর্ব পাকিস্তানে ভুট্টো সাহেব এসব একজন নেতা উপনেতাকেও খুঁজিয়া পান নাই, যিনি তাহার সহিত একমত বা তাঁহার সঙ্গে কাজ করিতে আগ্রহশীল। প্রেস কনফারেন্সের বক্তৃতায় এই ক্ষোভ তিনি আকারে- ইঙ্গিতে প্রকাশও করিয়াছেন। বামপন্থী ভুট্টো সাহেবের বিপ্লবী মতবাদ এখানে মােটে বিকাইলই না, এটা ক্ষোভের কারণ বৈকি ? আফসােস করিয়া তিনি বলিয়াছেন ও এখানকার বিরােধী দলগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ আদর্শগত সংঘাত এত বেশী যে, ঐসব দলের কোনটিতে যােগদান করা তাঁরপক্ষে সম্ভবপর নয়। স্ব-বিরােধিতার জন্য সুপরিচিত ভুট্টো সাহেব আবার পরক্ষণেই বলিয়াছেন যে, আভ্যন্তরীণ সংঘাত পার্টির স্বাস্থ্যের পক্ষে কল্যাণকর ও উহাতে পার্টির নীতি ও আদর্শ পরিষ্কার হইয়া উঠে।
জনাব ভুট্টো সরকারী খরচে তিন মাস বিদেশে ছুটি ভােগ করিয়া দেশে ফিরার পর বহু আবােল-তাবােল কথা বলিয়াছেন, মুসলিম লীগের ভিতরে ‘প্রগতিশীল ব্লক গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন, প্রায় সবকয়টি বিরােধী দল উপদলের দুয়ারে বৎসরাধিককাল ধর্ণা দিয়াছেন। কিন্তু কেহই তাহাকে কোলে তুলিয়া লইতে আগ্রহ প্রকাশ করে নাই, বরং সবাই এই মাত্রাজ্ঞানহীন চপলমতি আত্মতৃপ্ত অর্বাচীনকে একটি রাজনৈতিক এতিম হিসাবে উপেক্ষা করিয়াছে। কারণ সবাই জানে ও হােটেলের প্রেস কনফারেন্স পর্যন্তই এইসব বিমান বিহারী বড়লােক বামপন্থীদের পলিটিক্সের দৌড়। তাই সবাই তাকে পত্রপাঠ বিদায় দিয়াছে। সর্বশেষ তিনি আসিয়াছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে ভাগ্য যাচাই করার জন্য। দেখা গেলঃ সেগুড়ে এখানেও বালি। এখন নাকি তিনি নতুন পার্টি খাড়া করিবেন। দেখা যাক, সেটা কি ধরনের ককটেল পার্টি হয়।
অনেকে ভুট্টো সাহেবের নাম দিয়াছে মিঃ কনফ্রন্টেশন। কারণ, কন্টেশন কথাটা তার মুখে একটা সস্তা বুলি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কথায় কথায় তিনি যাকে তাকে কনফ্রন্টেশনের চ্যালেঞ্জ ছুড়িয়া মারেন। কিন্তু হঠাৎ যদি কেউ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করিয়া বসে, তখন তিনি অবশ্য লেজ গুটাইয়া পিছটান মারিতে লজ্জা বােধ করেন না। গত বছর ২০শে মার্চ এই ঢাকাতেই তিনি শেখ মুজিবর রহমানের ৬-দফা প্রােগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও পাকিস্তানের ঐক্য-সংহতি বিনাশী সুগভীর চক্রান্ত” বলিয়া আখ্যায়িত করিয়া উক্ত বিষয়ে শেখ সাহেবকে কনফ্রন্টেশনের (অর্থাৎ বিতর্কে অবতীর্ণ হইবার) চ্যালেঞ্জ দিয়াছিলেন। ঐরূপ চ্যালেঞ্জ দেওয়ার অভ্যাসটা অবশ্য বরাবর শেখ মুজিবেরই একচেটিয়া ছিল। তার “মনােপলী রাইটে” ভুট্টো সাহেব হস্তক্ষেপ করায় তিনি চটিয়া লাল। ভুট্টোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করিয়া মুজিবর রহমান পাল্টা বিবৃতি দিলেন এবং বিতর্কের দিন, ক্ষণ ও স্থান জানিতে চাহিলেন। কিন্তু ততক্ষণে ভুট্টো সাহেব প্রকৃতিস্থ হইয়া হয়ত বুঝিতে পারিয়াছেন যে, এসব রাজনৈতিক ইস্যুতে বাহাসের কোন দাম নাই। কন্টেশন বা বিতর্ক দ্বারা এই সমস্ত প্রশ্নের মীমাংসা হয় না এবং এসব প্রশ্নে কোন বিতর্ক চালাইতে হইলে যে শান্ত সুস্থ পরিবেশ অপরিহার্য প্রতিপক্ষ তাহা বজায় রাখিতে কিছুতেই দেয় না ও দিবে না। বরং তাহারা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত অপরিচ্ছন্ন করিয়া তুলিয়া সর্বসাধারণকে আরও বিভ্রান্ত করার সুযােগ গ্রহণ করিবে। ভুট্টো সাহেব চ্যালেঞ্জ দিবার সময়েও পার্টির কাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন নাই। চিরাচরিত অভ্যাসবশতঃ ঝোঁকের মাথায় চ্যালেঞ্জ দিয়া বসিয়াছিলেন। আবার পিছটান মারার সময়ও কাহারও সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়ােজনবােধ করেন নাই। এইভাবে একবার নয়, একাধিকবার তিনি নিজেকে ও পার্টিকে অযথা হাস্যাস্পদ করিয়াছেন। পরিপক্ক ও দায়িত্বশীল রাজনীতিক কখনও এরূপ অপরিণামদর্শী কার্য করিতে পারে না।
কনফ্রন্টেশনের চ্যালেঞ্জ দেওয়ার ক্রনিক রােগ ভুট্টো সাহেবের এখনও সারে নাই। এবং সারে নাই বলিয়াই তিনি সম্প্রতি ঢাকাতে আরেক দফা চ্যালেঞ্জ দিয়া গিয়াছেন সবুর সাহেবকে। এবারকার চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক বিষয়ে নয়। সাংস্কৃতিক বিষয়ে। তিনি বলিয়াছেনঃ “আমি অবাঙ্গালী বলিয়া সবুর সাহেব কেন মনে করেন যে, রবীন্দ্র কাব্যসাহিত্য সম্পর্কে আমার জ্ঞান তার চেয়ে কম? পলিটিক্যাল কনফ্রন্টেশন তাে আছেই, আসুন একবার সাংস্কৃতিক কনফ্রন্টেশনে এক হাত হইয়া যাক। তাতে আমি আমার দাবী (অর্থাৎ রবীন্দ্র-কাব্যের পাণ্ডিত্য) প্রমাণ করিব।
তাহারা যা বলাইয়াছে, তােতাপাখীর ন্যায় তাহাই তিনি বলিয়া অন্ততঃ ঐ মহলের বাহুবা অর্জনের চেষ্টা করিয়াছেন। বস্তুতঃপক্ষে ছায়ার বিরুদ্ধে মুষ্টাঘাত করিয়া ভুট্টো সাহেবই নিজেকে হাস্যাস্পদ করিয়াছেন। নচেৎ ঐসব উদ্ভট অবান্তর উক্তি করিয়া কনন্টেশনের চ্যালেঞ্জ তিনি দিতে পারিতেন না। হঠাৎ বামপন্থী বিপ্লবী সাজিয়া ভুট্টো সাহেব যে বিশেষ মহল হইতে প্রেরণ আহরণ করিতেছেন, সেখানে কালচারাল রেজিমেন্টেশন চরমরূপে বর্তমান থাকিলেও পাকিস্তানের স্বাধীন পরিবেশে যে উহার বালাই নাই, একথা এতদবিষয়ে একান্ত অজ্ঞ ভুট্টো সাহেবের স্কুল স্ফীত মস্তিষ্কে কে ঢুকাইয়া দিবে ?
পাকিস্তানে রবীন্দ্র কাব্যসাহিত্য কোন দিন নিষিদ্ধ হয় নাই, এমনকি, বঙ্কিমচন্দ্র-নবীনচন্দ্রের লেখার ন্যায় চরম মুসলিমবিরােধী উগ্র সাম্প্রদায়িক লেখাও যে এখানে কখনও নিষিদ্ধ নয় বরং সেগুলি এখানকার শিক্ষায়তন সমূহে পূর্ববৎ পঠিত হইতেছে, একথা অজ্ঞতার প্রতিমূর্তি ভুট্টোকে কে বলিয়া দিবে? সাংস্কৃতিক বিষয়ে সরকারের কোন ছক কাটিয়া পথ নির্দেশ দেয়ার প্রয়ােজন হয় নাই, পাকিস্তানী জাতি তমদুনের ‘নীল নকশা’ স্বয়ং তৈয়ার করিয়া লইয়াছে এবং ভুট্টো সাহেব রাজনীতি করিতে চান, করুন। কিন্তু আবার সাংস্কৃতিক বিষয়ে মাথা গলাইবার এই বাতিক তাকে পাইয়া বসিল কেন? হেড অফিসে কি এতই গােলযােগ?
বাঙলা কবিতার কয়েকটি ইংরেজী তরজমা পড়িয়াই কনফ্রন্টেশন।
প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলিয়াছেন ও জাতির সাংস্কৃতিক বিষয়ে পথ নির্দেশ করা কোন সরকারের উচিত নয়। যে সমস্ত লােক সংস্কৃতির কিছু বুঝে না, তারাই সংস্কৃতির ‘নীল-নক্সা’ রচনা করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ন্যায় আন্তর্জাতিক কবির কাব্য পাঠ করিতে নিষেধ করা নিছক বাতুলতা। সরকার একদিকে ভারতের সশস্ত্র আক্রমণকে অগ্রাহ্য করিতেছেন, অপরদিকে তাহাদের তথাকথিত সাংস্কৃতিক অভিযানের ঢাকঢােল পিটাইয়া ছায়ার বিরুদ্ধে মুষ্টাঘাত করিয়া উদ্যমে অপচয় করিতেছেন। লােকে কোন কবির লেখা পড়িবে না পড়িবে, সে নির্দেশ দেওয়া সরকারের উচিত নয়।
ভুট্টো সাহেবের অসংলগ্ন কথাগুলির আগামাথা খুঁজিয়া পাওয়া অবশ্য খুবই দুষ্কর। তবে এটা পরিষ্কার বুঝা যায় যে, একদা যে মহলটি কাগমারী, কার্জন হলে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক ঐক্য বিধানের জন্য উঠিয়া-পড়িয়া লাগিয়াছিল এবং সাংস্কৃতিক স্বাধিকারের নামে আজ পর্যন্ত অখণ্ড বঙ্গসংস্কৃতির ক্ষেত্র প্রস্তুতের অপপ্রয়াস পাইতেছে, মিঃ ভুট্টো ঢাকায় আসিয়া আর কোথাও কোন ঠাই না পাইয়া তাহাদেরই হাতে নিজেকে সপিয়া দিয়াছিলেন।
সেই নকশা সম্মুখে রাখিয়াই ব্রাহ্মণ্যবাদের মােকাবিলায় স্বীয় জাতীয় আজাদী ও আত্ম-প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালাইয়াছে। ভুট্টোর ন্যায় হঠাৎ গজাইয়াউঠা ব্যক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের ইতিহাস না-জানিতে পারেন (বস্তুতঃ পাকিস্তান আন্দোলনের ধারে কাছেও তিনি কোনদিন ছিলেন না); কিন্তু একথা দিবালােকের মত সত্য যে, পাকিস্তান শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার আন্দোলন ছিল না, উহা তামদুনিক আজাদীরও আন্দোলন ছিল, বরং তামদুনিক আন্দোলনটাই প্রথম সূচিত হইয়াছিল। তাই দুশমনরা পাকিস্তানকে অন্যদিক দিয়া ধ্বংস করিতে ব্যর্থ হইয়া কতিপয় এজেন্টের সাহায্যে ইহার তমদুনকেই গ্রাস করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চালাইতেছে। সেই মুষ্টিমেয় এজেন্টরাই রবীন্দ্রনাথকে বঙ্গভাষী পাকিস্তানীদের “জাতীয় কবি” এবং “পূর্ব পাকিস্তানী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ” বলিয়া চালাইবার অপচেষ্টা করিয়া জাগ্রত পাকিস্তানী জনতার ইস্পাত-কঠিন হস্তের মুষ্টাঘাতে জর্জরিত হইয়াছে। সরকারের কিছু করার প্রয়ােজন হয় নাই এবং ভবিষ্যতেও হইবে না, এ বিষয়ে ভুট্টো সাহেব ও তার নবীন বন্ধু “রবিউল্যোরা” নিশ্চিত থাকুন। জনগণই ঐ অখণ্ড বঙ্গ সংস্কৃতির এজেন্টদের মােকাবিলা করার দায়িত্ব লইয়াছে।

সূত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় খণ্ড: ষাটের দশক॥ দ্বিতীয় পর্ব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!