১ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ – ঢাকা ব্রাহ্মনবাড়িয়া
ক্যাপ্টেন গফফার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আখাউরা যান সেখানে অবস্থান রত সুবেদার আম্বিয়ার ইপি আর বাহিনীর সাথে সংযোগ স্থাপন করেন। সুবেদার আম্বিয়ার দল ৪ ইবি এর সাথে যুক্ত হয়। আম্বিয়ার দল ৪ ইবি এর কাছ থেকে কিছু অস্র নিয়ে আখাউরা গঙ্গাসাগর উজানিসার ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। পরে ক্যাপ্টেন গফফার আগর তলার বি এস এফ ক্যাম্পে যান সেখানে লেঃ কঃ দাসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে অস্রের সাহায্য চান। আওয়ামী লীগ নেতা আলী আজম আগেই আখাউরার আওয়ামী লীগের একজন নেতাকে নিয়ে কর্নেল দাসের সাথে অস্রের ব্যাপারে আলোচনা করে রেখেছিলেন। লুতফুল হাই সাচ্চু ৪ ইবি এবং ইপিআরদের খাওয়া দাওয়া যানবাহন বিষয়গুলি ভালভাবেই করে যাচ্ছিলেন। ২ তারিখেই কর্নেল দাস ১০০ টি ৩০৩ রাইফেল ও ১০০০০ গুলি এবং কিছু এক্সপ্লসিভ দেয়ার চুক্তি করেন। অস্র চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আলী আজম। তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং আগরতলার জেলা প্রশাসক সায়গলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। সায়গল উপরে কথা বার্তা বলার পর সীমান্তে ভারতীয় ৫৭ পার্বত্য ডিভিশন অধিনায়ক মেজর জেনারেল গঞ্জাল্ভস আসেন।
গঞ্জাল্ভস গফফার এর সাথে আলোচনা করেন। এদিন তেলিয়াপারায় মেজর জিয়া মেজর শফিউল্লার সাথে দেখা করে এক কোম্পানি সৈন্য চান। শফিউল্লাহ ক্যাপ্টেন এজাজের কোম্পানি জিয়াকে দেন। এপ্রিলের শুরুতে সবচে বড় বাহিনী ছিল ২ বেঙ্গল যা অপর অবশিষ্ট ৩ টি বেঙ্গলের প্রায় সমান। শফিউল্লাহ ক্যাপ্টেন আজিজুর এর একটি কোম্পানি সিলেটের দিকে পাঠান। শফিউল্লার আরও দুটি কোম্পানি ঢাকায় অবস্থান নিয়েছিল। ক্যাপ্টেন মতিউর তার কোম্পানি নিয়ে নরসিংদীতে পাক বাহিনীর মোকাবেলা করেন এখানে উভয় পক্ষে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। ক্যাপ্টেন নাসিমের কোম্পানি আশুগঞ্জে ছিল। লেঃ হেলাল মোরশেদ ১০০ ইপিআর ও ৩০ জন বেঙ্গল সৈনিক নিয়ে সরাইলে অবস্থান নেন। এদিন পূর্ব পাকিস্তান সামরিক সরকার ঘোষণা দিয়ে সকল বেসামরিক বাস ট্রাক রেস কোর্সে জমা করে সেখান থেকে দু ভাগে তারা বাস গাড়ী নিয়ে টাঙ্গাইল ও নরসিংদীর দিকে অগ্রসর হয়। পথে টাঙ্গাইলের বহরে ২ বেঙ্গলের সৈনিকরা আক্রমন করে সেখানে উভয় পক্ষে অনেক হতাহত হয়।